Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • “ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা, স্যাটেলাইট ছবি ফাঁস!” সবকিছু শেষ—আরও বড় যুদ্ধ আসছে?
বিদেশ

“ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা, স্যাটেলাইট ছবি ফাঁস!” সবকিছু শেষ—আরও বড় যুদ্ধ আসছে?

nuclear site w
Email :38

ইরানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর (Nuclear site) ওপর মার্কিন হামলার কয়েকদিন পর, তেহরান অবশেষে স্বীকার করল যে—ওই হামলায় তাদের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো “ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত” হয়েছে। বুধবার ইরান (Nuclear site) জানায়, যুক্তরাষ্ট্রকে এর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, নইলে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে।

গত ২১ জুন, ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় (Nuclear site) —ফোরদো, নাটানজ ও ইসফাহানে বোমা হামলা চালায়। এই হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘায়ি আল জাজিরাকে বলেন, “আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো (Nuclear site) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটা নিশ্চিত।”

এরই মধ্যে, ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে লেবাননের এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। না হলে তেহরান জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করবে।”

মার্কিন উপগ্রহচিত্র সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির মাধ্যমে প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবি দেখায়, নাটানজ ও ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্রে বিস্তৃত ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রয়েছে।

খতিবজাদে আরও বলেন, “আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো লিখিত বা বাধ্যতামূলক চুক্তিতে ছিলাম না। তারা আগ্রাসন বন্ধ করায় যুদ্ধ থেমেছে মাত্র।”

nuclear site q
ইরানের পরমাণু কেন্দ্র

এর একদিন আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনিই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল আবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং পাল্টা জবাবে ইরানও হামলা চালায়।

এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বলেন, “আমি উভয় পক্ষের উপরই বিরক্ত। বিশেষ করে ইসরায়েলের আচরণে। যুদ্ধ থামাতে বলার পর তারা আবার বোমা বর্ষণ করেছে। এরা নিজেরাও জানে না তারা আসলে কী করছে!”

ট্রাম্প আরও বলেন, “দুই দেশ বহু বছর ধরে এতটা লড়াই করেছে যে তারা নিজেরাই বুঝে উঠতে পারছে না তারা কী চায়।”

এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে ঠিক ৪৮ ঘণ্টা পর, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং ইরাকের আইন আল আসাদ ঘাঁটিতেও হামলা চালায়।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়, যার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলেও। এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েল এর আগে গাজায় হামাস এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল।

গত ১২ জুন, ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করার কথা বলে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। ইরান তখন দাবি করে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ। এরপর উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts