হরিয়ানার রোহতকে স্ত্রীর ও তার প্রেমিকের লাগাতার নির্যাতনের জেরে আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন এক ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির নাম মগন। আত্মঘাতী (Suicide) হওয়ার আগে তিনি একটি ভিডিও রেকর্ড করে গিয়েছেন, যেখানে তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী দিব্যা ও তার প্রেমিক দীপককে দায়ী করেছেন। দীপক একজন পুলিশ কনস্টেবল, যিনি বর্তমানে মহারাষ্ট্র পুলিশে কর্মরত।
এই মর্মান্তিক ঘটনা (Suicide) ঘটে ১৮ জুন। মগনের আত্মঘাতী (Suicide) ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর পরিবার তাঁকে খুঁজতে শুরু করে এবং পরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ একটি গাছ থেকে উদ্ধার করে। মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী দিব্যা ও দীপকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তাঁদের খুঁজে পেতে পুলিশ অভিযান (Suicide) শুরু করেছে। মগন ও দিব্যার একটি ছোট ছেলেও রয়েছে।
মগনের শেষ ভিডিওতে (Suicide) তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন নিজের বাবাকে খুন করতে ও পারিবারিক জমি-বাড়ি বিক্রি করে দীপকের প্রমোশনের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ঘুষ জোগাড় করতে। ভিডিওতে মগন (Suicide) জানান, তিনি গম বিক্রি করে দিব্যাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন এবং নিজের গহনা বন্ধক রেখে আরও ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তবুও দিব্যা ও দীপক আরও ১.৫ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন।

মগন ভিডিওতে (Suicide) স্পষ্ট বলেন, “আমি বাবাকে মারতে পারব না, তাই নিজেই জীবন শেষ করছি।”
মগনের পরিবারের দাবি, দিব্যা স্বামীকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য তাঁর সঙ্গে দীপকের একটি আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়েছিলেন, যেখানে দিব্যাকে একটি হোটেল কক্ষে নাচতে দেখা যায়, ভিডিওটি দীপক নিজেই তুলেছিলেন। সেই ভিডিওতে তাঁরা ঘনিষ্ঠ অবস্থাতেও ধরা পড়েন। এই ভিডিও দেখার পর থেকেই মগন গভীর হতাশায় ভুগছিলেন।
মগনের বাবা জানান, তাঁর ছেলে কখনও ঘরোয়া সমস্যার কথা খোলাখুলি বলেননি। তাঁর মৃত্যুর পর ভিডিওটি সামনে আসতেই পরিবারের চোখ খুলে যায়।
ভিডিওতে আরও বিস্ফোরক অভিযোগে মগন জানান, দিব্যা যখন তাঁর সঙ্গে বিয়ে করেন তখনও তিনি তাঁর আগের স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কেই ছিলেন এবং আগের সংসারে এক পুত্রসন্তানও ছিল। দিব্যা কখনও ডিভোর্স নেননি। মগন জানান, তিনি একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন, যিনি আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি আদালতে না গিয়ে টাকা দিয়ে দিব্যাকে তাঁর আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদে সাহায্য করেন।
মৃত্যুর আগে ভিডিওতেই মগন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন যেন তাঁর স্ত্রী ও দীপকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং তাঁর ছোট ছেলেকে দাদু-দিদার কাছেই রাখা হয়।
ভিডিওর শেষ অংশে তিনি স্থানীয় এমপি এবং বিধায়কের কাছে অনুরোধ জানান যেন তাঁর পরিবারকে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি তাঁর বোন সবিতাকেও—যিনি একজন নারী অধিকার কর্মী—অনুরোধ করেন, যেন তিনি এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেন।
এই ঘটনায় রোহতক জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মগনের শেষ ভিডিও এখন রাজ্যজুড়ে ভাইরাল। পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্তদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে।