উত্তরাখণ্ডে টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবন চরমভাবে (Landslide) ব্যাহত হয়েছে। পাহাড়ি জেলাগুলোর একাধিক এলাকায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে, যার ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ ও তীর্থস্থানগুলির যাত্রাপথ।
বাগেশ্বর জেলার কাপকোট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত (Landslide) হয়েছে। বাগেশ্বর-কাপকোট প্রধান মোটর রোড সহ অন্তত ২০টিরও বেশি রাস্তায় ধ্বংসস্তুপ জমে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও সোমবার কিছু রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছিল, মঙ্গলবার নতুন করে বৃষ্টিপাতের (Landslide) ফলে ফের অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেই রাস্তাগুলি। দ্রুত পরিষ্কার অভিযানের জন্য একাধিক জেসিবি মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উত্তরকাশীতে ৯ কাঞ্চি এলাকার কাছে ভূমিধসের (Landslide) কারণে যমুনোত্রী যাত্রা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীরা আপাতত জানকী চট্টি এলাকায় আটকে আছেন এবং রাস্তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা এগোতে পারবেন না।
চামোলি জেলার নানা অঞ্চলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নন্দপ্রয়াগ-নন্দনগর সড়কে বিশাল ধস নেমে অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়েছে। যদিও আপাতত বৃষ্টি থেমে আছে, তবে মাটি এখনও নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে, ফলে বিপদের আশঙ্কা রয়ে গেছে।

মুসৌরিতে সোমবার রাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। শহর জুড়ে কুয়াশায় ঢেকে গেছে, এবং তাপমাত্রা কমে গেছে অনেকটা। পর্যটকরা শীতল আবহাওয়া উপভোগ করলেও, অবিরাম বৃষ্টির কারণে সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে কেদারনাথ ও রুদ্রপ্রয়াগে আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত ভালো থাকায় তীর্থযাত্রা স্বাভাবিকভাবেই চলছে। ঋষিকেশে হালকা কুয়াশা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
বিকাশনগর, পৌরি ও টেহরিতে হালকা বৃষ্টি ও কুয়াশা রয়েছে। টেহরিতে এখন রোদের দেখা মিললেও বাতাসে আর্দ্রতা বেড়েছে, আর বিকেলের দিকে ফের বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস। উত্তরকাশী বর্তমানে পরিষ্কার থাকলেও সোমবারের ভূমিধসের পর এলার্ট জারি রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত এবং ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে দেরাদুন, নৈনিতাল, টেহরি, হরিদ্বার, রুদ্রপ্রয়াগ সহ একাধিক এলাকা।
জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ইতিমধ্যেই সমস্ত জরুরি প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে।