Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “মেয়েদের অপমান সইতে না পেরে মন্দিরে ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি দান!” — অবসরপ্রাপ্ত সেনার বিস্ফোরক সিদ্ধান্তে কাঁপছে পরিবার!
দেশ

“মেয়েদের অপমান সইতে না পেরে মন্দিরে ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি দান!” — অবসরপ্রাপ্ত সেনার বিস্ফোরক সিদ্ধান্তে কাঁপছে পরিবার!

mmmm
Email :15

তামিলনাড়ুর tiruvannamalai জেলার অরুলমিগু রেণুকাম্বাল অম্মান মন্দিরে এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। ৬৫ বছর বয়সি এক প্রাক্তন সেনা অফিসার (Ex Army Officer), এস. বিজয়ন, যিনি প্রায় এক দশক ধরে একাকী জীবন যাপন করছেন, মন্দিরে ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি দান করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে তীব্র পারিবারিক যন্ত্রণা — উত্তরাধিকারের বিষয় নিয়ে বারবার অপমানিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন নিজের মেয়েদের বিরুদ্ধে (Ex Army Officer)।

কেসাভপুরম গ্রামের বাসিন্দা বিজয়ন সম্প্রতি মন্দিরে এসে দুইটি মূল সম্পত্তির দলিল নিয়ে হাজির হন। একটি দলিলের মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা — যেটি মন্দিরের পাশেই অবস্থিত জমি, এবং অন্যটি প্রায় ১ কোটি টাকার একটি একতলা বাড়ির দলিল (Ex Army Officer)।

২৪ জুন দুপুর ১২টা ৩০ নাগাদ মন্দিরের দানবাক্স খোলার সময় ঘটনাটি সামনে আসে। প্রতিবারের মতো, কয়েকজন কর্মকর্তা মিলেই মন্দিরের ১১টি হুণ্ডি (দানবাক্স) থেকে দান গণনা করছিলেন v। সেই সময় একটি বাক্স থেকে হঠাৎই পাওয়া যায় আসল সম্পত্তির দলিলের বান্ডিল। এর সঙ্গে একটি হাতে লেখা চিঠিও ছিল, যেখানে বিজয়ন লিখেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ও আন্তরিকভাবে তাঁর সম্পত্তি দেবীর উদ্দেশ্যে দান করছেন (Ex Army Officer)।

মন্দিরের নির্বাহী আধিকারিক এম. শিলাম্বারাসন জানান, মন্দিরে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দানবাক্সে দলিল ফেলার অর্থ এই নয় যে, আইনি দৃষ্টিতে সম্পত্তি সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের হয়ে যাবে। এর জন্য আলাদাভাবে নথিভুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

তদন্তে জানা গেছে, বিজয়ন বহু বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই একা থাকছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে প্রায়শই সম্পত্তি নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন, এমনকি নিত্যদিনের প্রয়োজনেও তিনি তাঁদের থেকে সহানুভূতি পাননি।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর পরিবার সম্পত্তি ফেরত চাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিজয়ন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন না। তাঁর কথায়, “আমার সন্তানরা আমাকে অপমান করেছে, আমার দৈনন্দিন চাহিদার জন্যও মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। আমি মন্দিরের নামে সম্পত্তি আইনি ভাবে রেজিস্টার করাব।”

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত দলিলগুলি নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন হিন্দু ধর্ম এবং দাতব্য দপ্তরের (HR&CE) কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts