শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ (DA Case) দিতে হবে ২৭ জুনের মধ্যে। আদালত আরও জানিয়ে ছিল, এই বিষয়ে ১৫ জুনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নবান্ন বা অর্থ দফতর থেকে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি, যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে (DA Case)।
প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, এই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে কিছু সংশোধনের জন্য রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চায় (DA Case)। কিন্তু কোর্টের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় সেই আবেদন এখনও তালিকায় ওঠেনি। সূত্রের মতে, আদালতের নির্দেশের নির্দিষ্ট কিছু দিক নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন করতে চাইছে রাজ্য (DA Case)। তবে, সময়সীমা মেনে নির্দেশ কার্যকর করার জন্যও প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্য সরকার কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ-র (DA Case) মধ্যে ৮০ শতাংশ সরাসরি দেওয়ার কথা ভাবছে, আর বাকি ২০ শতাংশ জমা পড়বে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। তবে এই ব্যবস্থা আদালতের নির্দেশনার লঙ্ঘন কিনা, তা নিয়ে চলছে আইনি পরামর্শ।
এই মুহূর্তে কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আদৌ সময়মতো বকেয়া ডিএ (DA Case) পাবেন তো? কারণ এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা (DA Case) জারি হয়নি। আদালতের নির্দিষ্ট সময়সীমা মাথায় রেখে নবান্ন তৎপর হলেও শেষ মুহূর্তে কোনও বড় সিদ্ধান্ত না হলে কর্মীদের আস্থা ফিরে পাওয়া কঠিন।
প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ ডিএ মেটাতে (DA Case) প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন রাজ্যের। আর ৮০ শতাংশ দিলেও খরচ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। সূত্র বলছে, এরই মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অনেকের অনুমান, এই টাকা সম্ভবত ডিএ দেওয়ার জন্যই ধার নেওয়া হয়েছে।
তবে এই দাবি মানতে নারাজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তাঁর কথায়, “এটা একটা গুজব। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফেসবুকে লিখেছেন, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভালো। তাহলে আবার ঋণের কী দরকার?” তিনি আরও জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিএ না দিলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে এবং বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।
এখন নজর থাকবে আগামী দু’দিনের মধ্যে রাজ্য সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, আর কর্মীদের হাতে সত্যিই কি পৌঁছবে বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া ডিএ?