উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রুরকিতে এক তরুণীর জীবনভর মনে রাখার মতো একটি দুঃস্বপ্ন নেমে আসে, যখন তাঁর বাগদত্ত হঠাৎ করেই কোনও স্পষ্ট কারণ না জানিয়ে বিয়ের সম্পর্ক ভেঙে দেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে যুবতীর পরিবার রুরকির কোতওয়ালি থানায় (Uttarakhand) অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের মূল কেন্দ্রে রয়েছে পণপ্রথা, যা দেশে আইন বিরুদ্ধ হলেও এখনও বহু পরিবারে তা বলবৎ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে রুরকির (Uttarakhand) এক তরুণীর সঙ্গে বাহাদরাবাদ থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের যুবকের সঙ্গে বিয়ের পাকা কথা হয়। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই একেবারে সামাজিক রীতিনীতিতে সম্পন্ন হয়েছিল বাগদান অনুষ্ঠান। বিয়ের দিন ধার্য হয়েছিল চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। পরিবারে তখন থেকে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কথা ছিল, ঠিক সেই সময়ই হঠাৎ করেই ছেলেটি বিয়েতে (Uttarakhand) রাজি নয় বলে জানায়।
এমন খবরে মেয়েটির পরিবার তৎক্ষণাৎ পুলিশে অভিযোগ জানায় (Uttarakhand)। জুন মাসের ২২ তারিখ, রবিবার কোতওয়ালি থানায় মেয়েটির পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তাঁদের অভিযোগ, ছেলেপক্ষের তরফে পণের দাবি করা হয়েছিল, এবং সেই দাবি তাঁরা পূরণে অপারগ হওয়ায় বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
রুরকির কোতওয়ালি থানার ইনচার্জ মনিভূষণ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “মেয়ের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, পণের কারণেই সম্পর্ক ভাঙা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সূত্রের দাবি, ছেলেটি যখন মেয়েকে বিয়েতে রাজি না হওয়ার কথা জানায়, তখন সে কোনও পরিষ্কার কারণ উল্লেখ করেনি। এই অস্বচ্ছ আচরণেই মেয়ের পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। তাঁদের আশঙ্কা, আর্থিক চাপ ও বেআইনি পণপ্রথার কারণে এই সম্পর্ক ভাঙা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে পণপ্রথা আইনত নিষিদ্ধ হলেও এখনও বহু জায়গায় এই সামাজিক ব্যাধি চালু রয়েছে। এর ফলে বহু পরিবার অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়ে, অনেক সময় তা মানসিক অত্যাচার বা পারিবারিক সহিংসতায় গড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত দিক যাচাই করা হবে।