হৃদয়বিদারক ঘটনা হুগলির খানাকুলে। চার বছরের এক শিশুপুত্রকে (Child Death) পৈশাচিক কায়দায় খুনের অভিযোগ উঠেছে তার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। মৃত শিশুটির (Child Death) নাম কৃষ্ণ কোলে। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল থানার জগন্নাথপুর গ্রামে। অভিযুক্ত সৎ মায়ের নাম সোমা দাস।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্বর্ণেন্দু কোলে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কায়বা গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা বক্সিকে। তাঁদের একমাত্র পুত্র ছিল কৃষ্ণ। তবে মাত্র দু’বছরের মাথায় প্রতিমার মৃত্যু হয় শারীরিক অসুস্থতায়। তারপর থেকেই ছোট কৃষ্ণ দিদা ও ঠাকুমার কাছে মানুষ হতে শুরু করে (Child Death) ।
স্ত্রীর মৃত্যুর কয়েক বছর পর স্বর্ণেন্দু আবার বিয়ে করেন । মাস দেড়েক আগে তিনি ভালোবেসে ঘাটালের মারিটা গ্রামের গৃহবধূ সোমা দাসকে বিয়ে করেন। সোমার নিজস্ব দুই সন্তান রয়েছে । তবে নিজের স্বামী ও এক সন্তানকে ছেড়ে সোমা, অন্য পুত্রসন্তানকে নিয়ে স্বর্ণেন্দুর বাড়িতে চলে আসেন (Child Death) ।
এর মধ্যে প্রায় পনেরো দিন আগে সোনার কাজের সূত্রে স্বর্ণেন্দু সুরাটে পাড়ি দেন (Child Death) । তারপরই ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা।
শনিবার হঠাৎই খবর আসে, ছোট কৃষ্ণ আর নেই। মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে পড়েন তার মামাবাড়ির লোকজন। তড়িঘড়ি ছুটে যান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষ্ণকে নৃশংসভাবে মারধর করে খুন করা হয়েছে। শিশুটির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন তাঁরা। মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির নিথর দেহ কম্বলের নিচে পড়ে ছিল বলে জানান তাঁরা।
এই ঘটনায় কৃষ্ণের দাদু বংশীবদন বক্সি খানাকুল থানায় অভিযুক্ত সোমার বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে রবিবার সকালে খানাকুলের পাঁচুইখানা এলাকা থেকে সোমা দাসকে গ্রেফতার করে। তাঁকে এদিন আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
স্বর্ণেন্দু কোলে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সুরাট থেকে ফিরে আসেন। কান্না জড়ানো গলায় বলেন, “যদি সত্যিই সোমা আমার ছেলেকে মেরে থাকে, তবে আমি চাই, আদালত যেন তাকে ফাঁসির সাজা দেয়।”
ছোট্ট কৃষ্ণের এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় জেলাজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শিশুর নিরাপত্তা কোথায়? কীভাবে এত ছোট একটি প্রাণের এমন নির্মম পরিণতি হল?