Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ইরানের পরমাণু ইস্যু কি শুধুই অজুহাত? ওয়াইসির জবাবে চমকে উঠেছে সবাই!
দেশ

ইরানের পরমাণু ইস্যু কি শুধুই অজুহাত? ওয়াইসির জবাবে চমকে উঠেছে সবাই!

asaudiin waisi
Email :23

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের মূল পরমাণু স্থাপনাগুলিতে শক্তিশালী বিমান হামলা চালিয়েছে, ঠিক তখনই পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে সরব হলেন AIMIM প্রধান ও হায়দরাবাদ লোকসভা সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। রবিবার ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াইসি তীব্র ব্যঙ্গের সুরে বলেন, “পাকিস্তান কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে চেয়েছিল শুধুমাত্র এই কারণে, যাতে সে ইরানে বোমা ফেলতে পারে?”

তিনি (Asaduddin Owaisi) বলেন, “এই সেই ট্রাম্প, যাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির হোয়াইট হাউসে একসাথে লাঞ্চ করেছিলেন। পাকিস্তান এখন কী বলবে? তাদের মুখোশ খুলে গেছে।”

ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) আরও বলেন, মার্কিন হামলার ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর ভাষায়, “এই হামলা নেতানিয়াহুকে আরও বলবান করেছে—এই সেই নেতানিয়াহু, যিনি গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছেন। অন্তত ৫৫,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আর যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে একটুও উদ্বিগ্ন নয়।”

ইরানের পরমাণু হুমকিকে “ভয়ভীতি দেখানোর নামান্তর” বলে দাবি করেন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। তিনি বলেন, “ইরাক ও লিবিয়ার ক্ষেত্রেও বলা হয়েছিল যে সেখানকার কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। আজ আবার সেই পুরনো চাল।”

তিনি (Asaduddin Owaisi) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “যদি মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়—which is now very likely—তাহলে তার ভয়াবহ প্রভাব ভারতেও পড়বে। কারণ, সেই অঞ্চলে ১.৬ কোটিরও বেশি ভারতীয় বাস করেন।”

ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়েও আলোকপাত করেন ওয়াইসি। তাঁর ভাষায়, “ভারতের বহু বিনিয়োগ ওই আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলিতে রয়েছে। পাশাপাশি, ভারতও ওই অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ পায়। যুদ্ধ পরিস্থিতি হলে, এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে ভারতীয় অর্থনীতিতে।”

donald trump s
ট্রাম্প

প্রসঙ্গত, শনিবার (স্থানীয় সময়) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, আমেরিকান বাহিনী ইরানের ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ব্যবহৃত হয় ছয়টি B-2 স্টেলথ বোমার, যারা ১২টি অত্যন্ত নির্ভুল বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু অবকাঠামো ভাঙার চেষ্টা করে।

CBS নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তীতে কূটনৈতিকভাবে ইরানকে জানায় যে, এই হামলা সীমিত পরিসরে হয়েছে এবং ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য সরকারের পতন ঘটানো নয়। তবে ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের উপর, এবং ইসরায়েলও পাল্টা হামলা জারি রেখেছে।

ইরান বারবার জানিয়েছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের টার্গেট ছিল সেই কর্মসূচিকেই ধ্বংস করা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts