Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • “ভোটের আগে টাকার দরকার, তাই রামমোহন”! বিজেপির বিস্ফোরক দাবি ঘিরে রাজনৈতিক ভূমিকম্প!
জেলা

“ভোটের আগে টাকার দরকার, তাই রামমোহন”! বিজেপির বিস্ফোরক দাবি ঘিরে রাজনৈতিক ভূমিকম্প!

tmc leader
Email :23

একজন ভিলেজ পুলিশ থেকে সরাসরি রাজনৈতিক মঞ্চে জেলা যুব সভাপতির (TMC Leader) আসনে! রামমোহন রায়ের এই উত্থান এখন জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর এই রকেটগতির উত্থান রীতিমতো চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলকে। ময়নাগুড়ি থানার প্রাক্তন ভিলেজ পুলিশ এবং জল্পেশ এলাকার বাসিন্দা রামমোহন রায় এবার দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (TMC Leader) জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির।

ভিলেজ পুলিশ হিসাবে কাজ করার সময় থেকেই এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন একজন সমাজসেবী হিসেবে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সমস্যার সমাধান, মানুষের পাশে থাকা, আর দরিদ্রদের সহায়তার কাজের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির (TMC Leader) সঙ্গে যুক্ত রামমোহন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। কলেজে পড়ার সময়েই হয়ে উঠেছিলেন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।

এলাকার যুবক-যুবতীদের একাংশ মিলে তাঁর নামে ‘রামমোহন ফ্যান ক্লাব’ গঠন করেন, যার সদস্যরা নিয়মিত সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত (TMC Leader)। ফলে রামমোহনের জেলা সভাপতি হওয়ায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ময়নাগুড়ি ব্লকের মানুষ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বহু মানুষ ফুলের তোড়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন, শুভেচ্ছা জানান। জেলা ও ব্লক স্তরের তৃণমূল নেতৃত্বও তাঁকে অভিনন্দন জানান।

তবে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে রামমোহনের (TMC Leader) ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করেন। তৃণমূলের তরফে পাল্টা জবাব দেন রামমোহন। তিনি বলেন, “মানুষ আমার পাশে আছে। ভিলেজ পুলিশ জেলা সভাপতি হয়েছেন বলেই বিরোধীদের এত জ্বালা। সামনে বিধানসভা নির্বাচনেও দেখিয়ে দেব বিরোধীদের অবস্থান কোথায়।”

পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানান, রামমোহন রায় ইতিমধ্যে ভিলেজ পুলিশের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং তাঁর পদত্যাগ গ্রহণও করা হয়েছে।

এদিকে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ রামমোহনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “রামমোহন রায় জলপাইগুড়ির কুখ্যাত তোলাবাজ। অবৈধ ডাম্পার চলাচল, গরু ও কয়লা পাচার—সব ক্ষেত্র থেকেই মোটা টাকা আদায় করে কালীঘাটে পাঠাতেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছিলাম। তখন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন, এখন ফের সেই জায়গায় ফিরে এলেন। ভোট সামনে, তাই তাঁকে ফের ব্যবহার করা হচ্ছে।”

রামমোহন রায় (TMC Leader) অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এই সব ভিত্তিহীন। জনসমর্থন আমার পক্ষে রয়েছে বলেই বিরোধীরা ভয় পেয়েছে। আমি ১৮ তারিখেই পদত্যাগ করেছি, নিয়ম মেনেই দায়িত্ব নিয়েছি। জনগণের পাশে থাকাই আমার প্রথম ও প্রধান কাজ।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts