যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান রোববার ইসরায়েলের (Israel) উদ্দেশে নতুন করে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দেশটির অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (রেভলিউশনারি গার্ডস) নিশ্চিত করেছে যে অন্তত ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের (Israel) দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
দুই দফায় চালানো এই হামলায় ইসরায়েলের (Israel) উত্তরের হাইফা এবং কেন্দ্রীয় শহর নেস জিওনা, রিশন লে জিওন ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কিছু ইসরায়েলি (Israel) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে। কিছু এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ইসরায়েলি (Israel) জরুরি পরিষেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড অ্যাডম’ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা মাঝারি এবং বাকি ১৫ জনের অবস্থা হালকা। বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল আবিবে (Israel) বিস্ফোরণের সময় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “একটা বিশাল বিস্ফোরণ হলো, সবকিছু কেঁপে উঠলো, আমি জানি না কী হলো।”
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোতে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি সক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক ধ্বংস এবং ইরানের কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এই উত্তেজনার সূচনা ঘটে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্ডো, নতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় “সফল” হামলা চালিয়েছে। সেইসঙ্গে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, ইরান প্রতিশোধ নিলে তার চেয়েও বড় হামলার সম্মুখীন হতে হবে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও ইরান পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে এবং বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে অঞ্চলটি।