ইরান-ইজরায়েল (Iran) উত্তেজনা এবার ছড়িয়ে পড়ল সাইপ্রাসে। সম্প্রতি ইরানের (Iran) ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) সাইপ্রাসে ইজরায়েলি নাগরিকদের লক্ষ্য করে একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। তবে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় সাইপ্রাস ও ইজরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী। সাইপ্রাস সরকারের “দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ”-এর প্রশংসা করেছে ইজরায়েল সরকার।
সরকারি বিবৃতিতে ইজরায়েল জানায়, সাইপ্রিয়ট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CIS) এবং ইজরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সির যৌথ প্রচেষ্টায় একটি বড়সড় সন্ত্রাসী হামলার ছক ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনায় উঠে আসছে ইরান (Iran)-ইজরায়েল ছায়াযুদ্ধের নতুন মাত্রা, যেখানে যুদ্ধ আর শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, ছড়িয়ে পড়ছে তৃতীয় দেশে।
গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, ইরান (Iran) ঘনিষ্ঠ প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর হাত ধরেই বিশ্বের নানা দেশে ইজরায়েলি নাগরিকদের টার্গেট করার প্রবণতা বাড়ছে। সাইপ্রাস পশ্চিম এশিয়ার খুব কাছে, আর ইজরায়েলি পর্যটকদেরও এখানে আনাগোনা অনেক। ফলে কৌশলগত দিক থেকে এই দেশ হয়ে উঠেছে এক নতুন রণক্ষেত্র।
ইজরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, এই ঘটনাটি আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে—ইরানের সঙ্গে লড়াই এখন আর শুধু সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ নয়, বরং একটা ‘গ্লোবাল ছায়াযুদ্ধ’, যেখানে তথ্য, গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।
যদিও ইরান বরাবরই এসব ঘটনার দায় স্বীকার করে না। তারা বলে, এ ধরনের হামলা “স্বাধীন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাজ”। কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র এবং ইজরায়েলের দাবি, এই ধরনের অপারেশনে ইরানের IRGC-এর প্রত্যক্ষ মদত থাকে।
সাইপ্রাসের এই ঘটনায় গোয়েন্দা জগতের বিশ্লেষণ বলছে, ইরান বুঝিয়ে দিতে চাইছে যে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, এবং যে কোনও দেশই হতে পারে পরবর্তী যুদ্ধভূমি। এই ভয়াবহ বাস্তবতাই এখন আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে।