ভালো ঘুম—আজকাল যেন এক বিলাসিতার (Sleep Distrub) নাম। আধুনিক জীবনের তাড়াহুড়ো, স্ট্রেস আর ঘুমের অভ্যাসে নানা গড়বড়ের জেরে অনেকেই ঘুমের সমস্যা ভোগ করছেন (Sleep Distrub) । কেউ হয়তো ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না (Sleep Distrub) , আবার কারও হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। টানা ঘুমের অভাবে তার প্রভাব পড়ছে শরীর ও মনের উপর।
এনার্জির অভাব, মাথাব্যথা, মেজাজ চটে থাকা, কাজে মন না বসা—এ সবই কম ঘুমের সঙ্গী (Sleep Distrub) । অনেকে নানা ঘরোয়া উপায় বা মেডিটেশন ট্রাই করেও যখন উপকার পান না, তখন প্রশ্ন ওঠে—বেডরুমের পরিবেশই কি দায়ী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের সমস্যা (Sleep Distrub) থাকলে বেডরুমে কিছু ছোট পরিবর্তন ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে।
ঘুমের গুণমান অনেকটাই নির্ভর করে ঘরের সেটআপ, বিছানার দিক কিংবা এমন কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর, যা আমরা সাধারণত গুরুত্ব দিই না। যেমন, ঘুমের সময় ঘর সম্পূর্ণ অন্ধকার রাখা উচিত। যে কোনও রকম উজ্জ্বল আলো, গ্যাজেট বা রঙিন আলো ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রয়োজনে আই মাস্ক ব্যবহার করাও ভালো বিকল্প হতে পারে।
বিছানার দিকও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলেন, মাথার দিক ঠিকঠাক না হলে গভীর ঘুম হয় না। দরজার একেবারে সামনে বিছানা না রাখাই ভালো। এমনকি ঘরের ভেতর টিভি বা আয়না থাকলেও তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আয়নার রিফ্লেকশন মাঝরাতে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। তাই এগুলি ঢেকে রাখা উচিত।
বিছানার চাদরের রংও ঘুমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। অতিরিক্ত উজ্জ্বল রঙ বা ডিজাইন বিশিষ্ট বেডশিট অনেক সময়ই ঘুমের সমস্যা তৈরি করে। তাই হালকা, শান্ত রঙের বেডশিট ব্যবহার করাই শ্রেয়।
বেডরুম সবসময় পরিষ্কার ও ফাঁকা রাখা উচিত। বিছানার নিচে কোনও জিনিস না রাখাই ভালো। ঘর যত নির্মল, ঘুম তত শান্ত। দরজার খুব কাছে মাথা বা পা রেখে শুলেও ঘুমে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।
আর ঘুমের ঠিক আগে স্নিগ্ধ, মন শান্ত করা সঙ্গীত বা বৃষ্টির আওয়াজ, বা কোনও বিশেষ ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক চালিয়ে দিলে শরীর ও মন স্বস্তি পায়। এতে ঘুম দ্রুত আসে ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এই তথ্যগুলি কোনও চিকিৎসকের বিকল্প নয়। ঘুমের সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।