বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়, ঘূর্ণাবর্ত— একের পর এক সিস্টেমের প্রভাবে বাংলার আকাশে ছায়া নামছে বারবার (West Bengal Weather)। সূচনাতেই বৃষ্টিমুখর নভেম্বর। ঠান্ডার আভাস নেই বললেই চলে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, নভেম্বরেও তেমন শীত মিলবে না। ডিসেম্বরেই নামতে পারে আসল শীত (West Bengal Weather)।
গত বছর অক্টোবরেই রাতের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৮-১৯ ডিগ্রিতে (West Bengal Weather)। এবার গোটা অক্টোবর জুড়ে বৃষ্টির দাপট। ১৫ বছরে এত উষ্ণ অক্টোবর দেখেনি কলকাতা। নভেম্বরেও ঠান্ডা আসবে না— মৌসম ভবনের এমন পূর্বাভাসে হতাশ শীতপ্রেমীরা (West Bengal Weather)।
বর্তমান নিম্নচাপ বাংলাদেশের দিকে সরে যাচ্ছে। তবে তার প্রভাবেই আজও বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় (West Bengal Weather)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক— বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা, নদীর জলে হুঁশিয়ারি, নীচু এলাকায় জলজমার সম্ভাবনা।
ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’র অবশিষ্ট নিম্নচাপ সরে যাচ্ছে বিহারের দিকে, তবে প্রভাব রয়ে যাবে রাজ্যে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিস্টেম দুর্বল হবে। কিন্তু নতুন নিম্নচাপের ইঙ্গিত মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। সঙ্গে আরব সাগরেও আরেক সিস্টেম শক্তিশালী হচ্ছে। রাজস্থান-হরিয়ানায় ঘূর্ণাবর্ত। অসমেও সক্রিয় আবহাওয়ার প্রভাব। সব মিলিয়ে বাংলার আকাশ এখনো অস্থির।
দক্ষিণবঙ্গে আজ মেঘলা আকাশ, বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়ায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে। রবিবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টি, সোমবার-মঙ্গলবার তুলনামূলক শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা। তবে বুধবার থেকেই ফের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি বাড়বে উপকূলে।
উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যয়। জলপাইগুড়িতে ১৬৯ মিমি, মালদহে ১২০ মিমি, আলিপুরদুয়ারে ১০৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। আজও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। সঙ্গে ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া। রবিবার পর্যন্ত একই পরিস্থিতি। সোমবার থেকে মিলবে স্বস্তি।
কলকাতায় আজ ২৬.৮° সর্বনিম্ন, গতকাল সর্বোচ্চ ছিল ৩১.৮°। আর্দ্রতা থাকবে ৬৮% থেকে ৯০%— ফলে ঘেমো গরমের অস্বস্তি। আপাতত শীত নয়, বৃষ্টি আর বজ্রপাতই সঙ্গী।
প্রশ্ন একটাই— শীত কবে? আবহাওয়া দফতরের জবাব, ডিসেম্বরের আগে নয়।










