আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। চার তারিখেই শেষ হচ্ছে ফর্ম (SIR) জমা দেওয়ার সময়সীমা। তার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে নতুন বিভ্রান্তি ও অভিযোগ। একদিকে বিএলওদের তরফে উঠে আসছে একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যার কথা, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সামনে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো পরিসংখ্যান।
ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের (SIR) কাজ চলাকালীন প্রধান অ্যাপে সমস্যা, ফর্ম ডিজিটাইজেশনে ধীরগতি এবং তথ্য আপলোডে একাধিক গড়বড়ের অভিযোগ উঠেছে বিএলওদের তরফে। তার মধ্যেই শুক্রবার পর্যন্ত কমিশনের হিসাব অনুযায়ী মোট সাতাশ লক্ষ একাত্তর হাজার ফর্ম এখনও সংগ্রহ করা যায়নি (SIR)। এই সংখ্যার মধ্যেই সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য—পনেরো লক্ষ তিপ্পান্ন হাজার ভোটার মৃত বলে চিহ্নিত। এছাড়া ঠিকানায় গিয়ে দুই লক্ষ একষট্টি হাজার ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আট লক্ষ আটাশি হাজার ভোটার স্থানান্তরিত হয়েছেন। আর আটান্ন হাজার একশো চৌষট্টি জনের নাম মিলেছে ডবল এন্ট্রিতে। তাঁদের নাম খসড়া তালিকায় রাখা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। তাঁদের জন্য আলাদা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
শুক্রবার পর্যন্ত মোট ছয় কোটি তিয়াত্তর লক্ষ ভোটারের তথ্য ডিজিটাইজড হয়েছে (SIR)। আগামী নয় ডিসেম্বর ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের সকলের নামই খসড়া তালিকায় থাকবে। কমিশনের ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট বুথে একই সঙ্গে সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাঁদের মৃত, স্থানান্তরিত বা অন্য কোনও কারণে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের নাম আলাদা তালিকায় প্রকাশ করা হবে।
মৃত ভোটারদের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম চালু করেছে কমিশন। দুই হাজার দুই সালের ভোটার তালিকায় যদি কারও নাম থাকে, কিন্তু বিএলওরা বাড়ি গিয়ে দেখতে পান যে সেই ব্যক্তি মৃত, তাহলে সেই নাম চিহ্নিত করে সরাসরি বাদ দেওয়া যাবে। আবার দুই হাজার পঁচিশ সালের তালিকায় নাম থাকলেও ঠিকানায় গিয়ে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে সেই নামও বাদ পড়বে। যাঁদের একই ভোটারের নামে একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে, সেই ডবল এন্ট্রির ক্ষেত্রেও নাম বাতিল হবে।
সব মিলিয়ে ফর্ম জমার শেষ পর্যায়ে এসে ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন ধোঁয়াশা, উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা। চার তারিখের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য।











