ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল (TMC) কর্মী খুনের ঘটনা। এই ঘটনার জেরে নন্দীগ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রামে (TMC) নিজের দোকানের কাছে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় এক তৃণমূল কর্মীর (TMC)। বিজেপির বিরুদ্ধে ওই তৃণমূল (TMC) কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহাদেব বিষয়ী। তিনি নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবন চকের বাসিন্দা। তিনি তৃণমূলের বুথ কর্মী ছিলেন। তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে, দলের প্রায় সমস্ত কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যেতো। বৃন্দাবন চকের সামনেই তাঁর একটা চায়ের দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁর মৃতদেহ দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, বুধবার রাতে যখন তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। বুধবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। সকালে তাঁর মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখতে পান। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত ছিল। পা দুটো ভাঙা ছিল। খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কর্মীরা খুন করেন।
এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “মহাদেব দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেম। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে গিয়ে ওঁকে খুন করেছে। কিছুদিন আগে আমাদের দলের আরও এক কর্মী খুন হয়েছে। বিজেপি ক্রমাগত এধরনের কাজ করছে। দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।”
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ৮ ডিসেম্বর ছিল তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভোট ছিল। সেখানে বিজেপি ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারপর থেকে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। তৃণমূলের দুই কর্মীকে গুরুতর আহত করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারমধ্যে বিষ্ণুপদ মণ্ডল নামের এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দাদা গুরুতর আহত হন।