Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • TMC: “দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে যেভাবে ইউসুফ পাঠানকে ফোন” — কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল
রাজ্য

TMC: “দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে যেভাবে ইউসুফ পাঠানকে ফোন” — কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল

Email :10

শেষ মুহূর্তে নাটকীয় মোড় (TMC)। কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তর্জাতিক দৌত্য অভিযানে থাকছে না তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার পর্যন্ত ঠিক ছিল, তৃণমূলের তরফে (TMC) প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে। বিদেশমন্ত্রক এমনকী তাঁর পাসপোর্ট চেয়ে পাঠায়। কিন্তু রাত পোহাতেই পাল্টে গেল খেলা। তৃণমূল চুপচাপ প্রত্যাহার করে নেয় নিজের প্রতিনিধি (TMC)।

অপারেশন সিঁদুর এবং পাকিস্তান-পোষিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান জোরালো করতে কেন্দ্রের তরফে ৭ সাংসদের নেতৃত্বে একটি ৪২ সদস্যের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিদেশ সফরে পাঠানো হচ্ছে। কংগ্রেস, এনসিপি, বিজেপি সহ একাধিক দলের সাংসদদের নাম নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান আর থাকছেন না।

হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন? কেন্দ্রের তরফে এখনও এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তৃণমূলও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে দলের অন্দর থেকে বেরিয়ে আসছে অস্বস্তির ইঙ্গিত।

সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে, সরাসরি ইউসুফ পাঠানকে ফোন করে বিদেশ সফরের জন্য তাঁর পাসপোর্ট চাওয়া হয়। তাতে ক্ষুব্ধ দল, কারণ তা সরাসরি পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার লঙ্ঘন।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “আমরা পুরোপুরি দেশের স্বার্থে আছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। সেটা তারাই করুক।”

অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানান, “আমি জানি না কোথা থেকে আপনারা শুনেছেন আমরা বয়কট করেছি। আমরা পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করি। কিন্তু দৌত্য কে যাবে, সেটা দল ঠিক করবে। বিজেপি তা চাপিয়ে দিতে পারে না। একজন চাইলে আমরা পাঁচজনের নাম পাঠাতে পারি, কিন্তু সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক বিরোধী দল তো এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতায় শুরু থেকেই নেই। তৃণমূল কিন্তু ছিল। আজও আমরা দেশ ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সরকারের পাশে আছি। কিন্তু পদ্ধতির সঙ্গে দ্বিমত আছে।”

শুধু তৃণমূল নয়, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) থেকেও অসন্তোষের সুর শোনা যাচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীকে প্রতিনিধি দলে রাখার বিষয়ে দলনেতা উদ্ধব ঠাকরেকে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ সঞ্জয় রাউতের। তাঁর সাফ প্রশ্ন— “বরযাত্রী পাঠানোর এত তাড়াহুড়ো কেন?”

প্রতিনিধি দলের নামে সর্বদলীয় ঐক্য হলেও, ভেতরে ভেতরে ফুটছে দলগত অস্বস্তির রাজনীতি। মুখে রাষ্ট্রীয় ঐক্যের বুলি, আর ভিতরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ — এমন অভিযোগেই এখন সরগরম সংসদ ও রাজনৈতিক মহল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts