কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Terrorist Attack) প্রাণ হারালেন কলকাতার বেহালার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির (Terrorist Attack) নিশানা হন তিনি। স্ত্রী ও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র উপত্যকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন বিতান (Terrorist Attack), কিন্তু সেই সফর শেষ হল এক মর্মান্তিক ঘটনায়।
জানা গিয়েছে, বেহালার বৈশালী পার্কে বসবাস করতেন বিতান অধিকারী। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলার সময় তিনি গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
খবর পৌঁছাতেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি এবং আশ্বাস দেন—”সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে, সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।”
ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কাশ্মীর ফের উত্তপ্ত
একাধিক পর্যটকের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’। সর্বশেষ পাওয়া খবরে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে, আহত বহু। এই ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
রাজনৈতিক স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সবার একটাই বার্তা—সন্ত্রাসবাদীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে, এবং নিরীহ সাধারণ মানুষের প্রাণ যাতে আর না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় একদিকে যেমন জাতীয় স্তরে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তেমনই কলকাতার বেহালায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “বিতানদা খুবই নম্র-ভদ্র মানুষ ছিলেন। তাঁর এমন পরিণতি মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।”
কাশ্মীর প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা চলছে এবং হামলার পিছনে থাকা জঙ্গিদের খুঁজতে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তরফে বার্তা, এই জঘন্য হামলার পরিকল্পনাকারীদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।