চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন (Teachers Protest) এবার রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে দিল্লিমুখী হতে চলেছে। সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন আন্দোলনকারীরা (Teachers Protest) ।
দুপুরে শিক্ষা ভবনে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের সঙ্গে চাকরি হারানো ৬ জন প্রতিনিধির (Teachers Protest) বৈঠক হয়। প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা (Teachers Protest) জানান, কিছু বিষয়ে প্রাথমিক আশ্বাস পেলেও, মূল প্রশ্নগুলোর কোনও পরিষ্কার উত্তর মেলেনি।
চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের (Teachers Protest) অন্যতম মুখ হাবিবুল্লা বলেন,”আমরা আশ্বাস পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি। তাই এবার আন্দোলনের গন্তব্য হবে দিল্লি। আমাদের প্রতি অবিচার হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম, সেটাও হয়নি।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা আরও বলেন,
“যদি কোনও প্যানেলে ২-৩ শতাংশ দুর্নীতিও থাকে, তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যাবে—এমন নজির তৈরি হয়েছে। আমরা বলছি, যদি কেউ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকে, তাহলে তাকেই শাস্তি দেওয়া হোক। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে দোষী তকমা দেওয়া ন্যায্য নয়।”
শিক্ষক রাকেশ আলম জানান, “আমরা আর কোনওভাবেই নতুন করে পরীক্ষায় বসতে রাজি নই। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু তা আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। আমরা বলেছি— হয় আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করুক, নয়তো আমাদের পূর্বের ফলাফলের ভিত্তিতেই বিচার হোক।”
তাঁদের দাবি, আদালতের রায় শুধু তাঁদের চাকরি কেড়ে নেয়নি, ভবিষ্যতের লড়াইটাকেও দুরূহ করে তুলেছে। তাই রাজ্যের বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে দিল্লির সাংসদদের কাছেও লিখিত আবেদন পাঠানো হবে, যাতে সংসদে বিষয়টি তোলা যায়।
চাকরিহারারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “এই আন্দোলন শুধু ন্যায়বিচারের জন্য। যতদিন না সেটা মেলে, ততদিন আমরা থামব না। এবার আন্দোলনের মঞ্চ হবে দিল্লি।”
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট, আন্দোলন শুধু রাজ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, এবার কেন্দ্রীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে চলেছে ‘চাকরিহারাদের লড়াই’।