করুণাময়ীর অনশনমঞ্চ থেকে এবার সরাসরি বিকাশভবনের মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Teachers Protest)। দীর্ঘদিনের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও পুলিশের নজরদারি অতিক্রম করে বৃহস্পতিবার সকালে কার্যত বিকাশভবনের দখল নিলেন তাঁরা (Teachers Protest)। তাঁদের একটাই দাবি (Teachers Protest)—“দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নয়, আমাদের হকের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।”
চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার গোপনে আবারও নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, কোনও আলোচনা না করেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রতিবাদকারী প্রতিনিধি মেহবুব মণ্ডল বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি, গোপনে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এমনকী বিজ্ঞপ্তিও তৈরি। অথচ আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনা করা হয়নি। আমরা এই প্রতারণা আর মেনে নেব না।” তাঁর আরও দাবি, রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার সময়ও তাঁদের অন্ধকারে রেখেছিল রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, “প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রিভিউ পিটিশনের আগে আমাদের সঙ্গে বসা হবে। কিন্তু সরকার পেছন দরজা দিয়ে কাজ সেরে নিয়েছে।”
চাকরিহারারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন করে পরীক্ষা তাঁরা দেবেন না, এবং বিকাশভবন ছেড়ে যাবেন না যতক্ষণ না সরকার মুখোমুখি আলোচনায় আসে।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এখনও বৈঠকে বসার কোনও রকম আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকাশভবনের সামনের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পুলিশ সাইরেন বাজিয়ে লাঠিচার্জ করতে থাকেন। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা গুরুতর আহত হন। কারও মাথা ফাটে, কারও পা ভাঙে। কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়নি। রাস্তাতেই কাতরাতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে আন্দোলনকারীরা নিজেদের উদ্যোগে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।