সারারাত রাস্তায় কাটিয়ে আন্দোলনকারীদের (Teachers Protest) শুনতে হচ্ছে কটাক্ষ—‘নাটক করতে এসেছে’। এক বোতলের বেশি জল মেলেনি, মহিলা আন্দোলনকারীরা (Teachers Protest) অসহায়—টয়লেট ব্যবহার করবেন কোথায়, তাও জানেন না। তবুও, তাঁদের (Teachers Protest) একটাই দাবি: স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তালিকা দিতেই হবে। কারণ, কমিশন নিজেই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই দাবিকে কেন্দ্র করেই সোমবার দুপুর থেকে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ কোনও কর্মীকেই অফিস থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল, ওআরএস-এর প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন চাকরি থেকে বঞ্চিত আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুরের পর থেকে আটকে পড়েছেন ২৫ জন কর্মী, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চারজন মহিলা। রাত কাটাতে হয়েছে বিস্কুট খেয়ে—কারণ, বাইরে থেকে কোনও খাবার তাঁদের জন্য পৌঁছতে দেওয়া হয়নি।
রাতে বিরিয়ানি ও পিৎজা অর্ডার করা হলেও আন্দোলনকারীরা সেই খাবার পৌঁছনোর আগেই তা আটকে দেন। এমনকী, সকালে এক ব্যক্তি যখন চা দিতে আসেন, তাঁর হাত থেকে মাটির ভাঁড় কেড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ওআরএস হাতে এসএসসি দফতরের সামনে পৌঁছন আন্দোলনকারীরা।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা চাই ওঁরা সুস্থ থাকুন। জল খাওন, ওআরএস নিন, টয়লেট ব্যবহার করুন। কিন্তু যেটা করার কথা, সেটা এখানেই বসে করতে হবে। বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। আমরা কাউকে আটকে রাখতে চাই না, কিন্তু কাজ না হলে ছাড়ব না।” তিনি আরও বলেন, “পরের বার খাবার এলে ঢুকতে দেব। কিন্তু বারবার বিরিয়ানি ঢুকবে, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব, তা তো চলবে না। তবে ওঁরা যেন এটা না বলেন যে আমরা খেতে দিইনি।”
চাপা উত্তেজনার মধ্যেই চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের দৃঢ় অবস্থানে প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা।