Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • জেল, হেনস্থা, রক্ত – পোশাকহীন প্রতিবাদে রাজপথে আগুন!
রাজ্য

জেল, হেনস্থা, রক্ত – পোশাকহীন প্রতিবাদে রাজপথে আগুন!

Email :9

শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিয়ালদহ স্টেশন। পুলিশ আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। প্রতিবাদকারীরা (Teachers Protest) একে একে যখন জমায়েত হতে শুরু করেন, তখন থেকেই পুলিশ খুঁজে খুঁজে তাঁদের গ্রেফতার করতে শুরু করে। একের পর এক চাকরিপ্রার্থীকে (Teachers Protest) জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

বেলা বাড়তেই আরও উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ে বিকাশ ভবনের সামনে। সেখানে একদল চাকরিহারা অর্ধনগ্ন হয়ে সরাসরি আন্দোলনে শামিল হন (Teachers Protest) । পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তোলে। গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় (Teachers Protest) ।

এক খালি গায়ে চাকরিহারাকে (Teachers Protest) প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় তিনি ক্যামেরার সামনে চিৎকার করে বলেন, “গুলি চালাক! মেরে ফেলুক!” তাঁর কণ্ঠে হতাশা নয়, প্রতিবাদের আগুন। অন্য এক আন্দোলনকারী বলেন, “সরকারের দুর্নীতির জন্য আজ আমরা পথে। আমাদের জামা-কাপড় কেড়ে নিয়েছে ওরা। ওরাই ফেরত দিক! লোকে প্রশ্ন করে—তোমরা চাকরি পেলেন না কেন? সেই উত্তর দিতে না পারার কষ্টে আমরা আজ উলঙ্গ।”

প্রসঙ্গত, আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল এই অর্ধনগ্ন মিছিলের। সকাল ১১টার মধ্যে শিয়ালদহে জমায়েত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু তার আগেই শিয়ালদহ দখলে নেয় পুলিশ। উপস্থিত ছিল বিপুল সংখ্যক মহিলা পুলিশও। জমায়েত দেখলেই পুলিশ তাঁদের ধরে গাড়িতে তোলে। দুপুরে বিকাশ ভবনের সামনে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশ আবারও বলপ্রয়োগ করে। কেউ কেউ আঘাত পান।

এক আন্দোলনকারী আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, “আমাকে লাথি মারা হয়েছে। জোর করে টেনে-হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলা হয়েছে।”

সরাসরি প্রতিবাদ, পুলিশি বলপ্রয়োগ, রণক্ষেত্রের ছবি—সব মিলিয়ে ফের উত্তাল রাজপথ। হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা এবার যেন সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts