চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Teachers Protest) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তাঁরা নতুন করে আর কোনও পরীক্ষায় বসতে চান না। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ৩১ মে-র মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি (Teachers Protest) করতে হবে। তবে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশনও দায়ের করেছে। যদি সেখানে রায় আসে যে নতুন পরীক্ষা না নিয়ে পুরনো যোগ্যদেরই ফেরানো যাবে, তাহলে সরকার সেই পথই নেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় চরম হতাশ আন্দোলনরত চাকরিহারারা (Teachers Protest)। তাঁদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী আজ যেন হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করলেন।”
সাংবাদিক বৈঠক করে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর সদস্যরা জানান, তাঁরা কোনওদিনই নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি চাননি। তাঁদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিস্তারিত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারির কথা বলা হয়নি। তাঁদের আশঙ্কা ছিল সরকার এইভাবে ফের পরীক্ষার পথেই ঠেলে দিতে চাইছে। সেই আশঙ্কাই আজ সত্যি হল।
চাকরিহারাদের বক্তব্য, সাত বছর চাকরি করার পর সরকার যে সহানুভূতি ও দায়বদ্ধতা দেখাবে বলে আশা ছিল, আজকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তার লেশমাত্রও দেখা যায়নি। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে তাঁরা স্কুলের পড়ুয়াদের বই পড়াচ্ছেন, কিন্তু চাকরির পরীক্ষার জন্য যে উচ্চস্তরের পড়াশোনার প্রয়োজন, তা থেকে বহুদিন দূরে রয়েছেন। তার উপর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে দু’মাসের মধ্যে সেই পড়াশোনায় ফেরা তাঁদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।
তাঁরা বলেন, “বয়সের ছাড় দিলেই ন্যায়বিচার হয় না। যারা অকৃতকার্য হবে, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাও তো স্পষ্ট করা হয়নি।” সবশেষে আন্দোলনকারী চাকরিহারারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না। আন্দোলন চলবে। রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে আমাদেরই ফেরানো হোক — এই দাবিতেই আমরা অনড়।”