শিয়ালদা থেকে নবান্ন পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অর্ধনগ্ন মিছিল (Teachers Protest) হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মিছিল শুরু হওয়ার আগে পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়। শিয়ালদা স্টেশনের পাশাপাশি পুলিশ ধর্মতলা চত্বরেও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের (Teachers Protest) বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চলে। যার জেরে শিক্ষকদের মিছিল কর্মসূচি কার্যত বানচাল হয়ে যায়। এরপরেই আন্দোলনরত শিক্ষকরা (Teachers Protest) বিকাশভবনের সামনে অর্ধনগ্ন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিকাশ ভবনের সামনেই আগে থেকে ব্যাপক পুলিশ ও ব়্যাফ নামানো হয়। একের পর শিক্ষকদের আটক করে বিকাশভবনের সামনে প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করে। যার জেরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয় ।
চাকরিহারাদের (Teachers Protest) ধরপাকড় নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা বলেন,” আমাদের ইনটিমেশন দিয়েছিলেন। পুলিশের তরফে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমাদের তরফে বোঝানো হয়েছিল আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কিছু যাতে করা না হয়। আজ বেশ কিছু জায়গায় জমায়েত হয়েছিল। আমাদের কাছে ইনপুট ছিল যে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই পুলিশের তরফে যথাসম্ভব সংযত ভাবেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, সমস্তটাই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে (Teachers Protest)। এদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হবে কি না, তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের তরফে যেভাবে আন্দোলন করতে বলা হয়েছে, সেভাবেই আন্দোলন করতে হবে। অন্যথা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিকাশ ভবনের সামনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন কখনই মেনে নেওয়া হবে না।
শিয়ালদহ থেকে ডোরিনা ক্রোসিং, সকাল থেকে ছবিটা সর্বত্র একই। নবান্ন-মুখী হওয়া চাকরিহারাদের (Teachers Protest) ধরে ধরে প্রিজন ভ্যানে তুলছে কলকাতা পুলিশ। এদিন ধর্মতলাতেও চলেছে সেই ‘সাফাই অভিযান’। আটক করা হয়েছে একাধিক চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের। বেলার দিকে সাফাই অভিযান খানিকটা ধীর হলে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায় জানান, বাকি এলাকার পরিসংখ্যান জানা নেই। শুধুমাত্র ধর্মতলাতেই আটক হয়েছেন গোটা পঞ্চাশেক চাকরিহারা।