বিকাশভবনে অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হওয়া চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা এবার আইনের মুখোমুখি (Teachers Protest)। তাঁদের মধ্যেই পাঁচজনকে তলব করেছে বিধাননগর উত্তর থানা (Teachers Protest)। তাঁদের ২০ ও ২১ মে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অনুপস্থিত থাকলে গ্রেফতারের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে (Teachers Protest)।
তবে এই তলব ঘিরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে। তাঁরা বলছেন, “যাঁরা মার খেলেন, তাঁরাই কীভাবে অভিযুক্ত?” আন্দোলনকারী চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “আমরা তো শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। আমাদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। তবুও আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হল। আজ সেই আমরাই অভিযুক্ত! এখন আমাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও সরকারি কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তলব করা হচ্ছে। এটা কতটা ন্যায্য?”
চাকরিচ্যুতদের অভিযোগ, পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করছে এবং “নতুন করে আন্দোলন দমন করতে” তাঁদের একে একে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, গত বৃহস্পতিবারের বিকাশভবন অভিযানে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন। বিকাশভবনের ভিতরে কর্মীরা উপস্থিত থাকার পরেও আন্দোলনকারীরা সেখানে বিক্ষোভ চালিয়ে যান, ফলে পুলিশ ‘বাধ্য হয়েই’ লাঠিচার্জ করে।
এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আন্দোলন বলে উল্লেখ করেন। তাঁর বক্তব্য, “দিদির কথার উপর ভরসা রাখা উচিত। আন্দোলনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকা অনুচিত।”
গত সপ্তাহে বিকাশভবনের গেটে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা সারা দিনব্যাপী বিক্ষোভে অংশ নেন। সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। তখনই সংঘর্ষ বাধে, আহত হন বহু আন্দোলনকারী। কারও হাত ভেঙে যায়, কারও রক্তপাত হয়। সেই ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি করে।
তবে এবার চিকিৎসাধীন চাকরিহারারাই পুলিশের নোটিশে বিপাকে পড়েছেন।
আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, “যেখানে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে তাদের বিরুদ্ধেই কেন আইনি ব্যবস্থা?”