Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Teachers Protest: FIR-এ নাম থাকলেও গ্রেপ্তার নয়! চাকরিহারাদের পাশে হাইকোর্ট, ধাক্কা পুলিশের অতিসক্রিয়তায়
রাজ্য

Teachers Protest: FIR-এ নাম থাকলেও গ্রেপ্তার নয়! চাকরিহারাদের পাশে হাইকোর্ট, ধাক্কা পুলিশের অতিসক্রিয়তায়

Email :26

বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers Protest) বিরুদ্ধে FIR থাকলেও তাঁদের গ্রেপ্তার বা হেনস্তা করা চলবে না — একপ্রকার অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Teachers Protest) । শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট বলেন, “তদন্ত চলবে ঠিকই, কিন্তু পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ধীরে চলো নীতি মেনে চলতে হবে (Teachers Protest) ।”

বিচারপতির মন্তব্য, “আপনারা ১৫-১৬ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলন করছেন, আমি আপনার দুঃখ বুঝি। কিন্তু আমাকেও তো সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে।” সেই কারণেই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আন্দোলনকারীরা এখন থেকে সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুল লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ জন সেখানে থাকতে পারবেন।

তবে এখানেই শেষ নয়। হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, “প্রশাসন যদি পারে, তাহলে ওখানে অস্থায়ী তাঁবু, বায়ো টয়লেট ও পানীয় জলের ব্যবস্থাও করে দেবে।” অর্থাৎ আন্দোলনের স্বীকৃতির মোড়কে সরকারকেই পরোক্ষে বিক্ষোভের পরিকাঠামো গড়ার নির্দেশ দিল আদালত।

অন্যদিকে, বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনার আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতে উঠে আসে পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ।

তাঁদের এই আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত FIR-এর ভিত্তিতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের শোকজ নোটিস নিয়েও বিচারপতি বলেন, “এখনই তা কার্যকর করা যাবে না।”

সুতরাং, রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের ‘চূড়ান্ত পক্ষপাত’ এবং আন্দোলন দমনে লাগাতার চাপের বিরুদ্ধে কার্যত ঢাল তুলে দাঁড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজনৈতিক মহলে এই রায়কে সরকারের উপর কড়া নজরদারির ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, “এই রায় আমাদের ন্যায্য আন্দোলনের জয়। আর সরকারের মুখে চপেটাঘাত।” তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, “আদালতের এমন রায় প্রমাণ করছে — তৃণমূল সরকার মানুষের বঞ্চনার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের স্বর কেড়ে নিতে মরিয়া।”

আন্দোলন এখন নতুন জায়গায়, নতুন স্বীকৃতিতে, তবে প্রতিবাদ থামছে না — বরং আদালতের রায়ে আরও জোরদার হচ্ছে।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts