শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরি হারানো ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর আন্দোলনে (Teachers Protest) ফের উত্তেজনা ছড়াল বিকাশ ভবনের সামনে। বৃহস্পতিবার রাতভর সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জের পর, শুক্রবার সকালেও আন্দোলনের (Teachers Protest আগুনে নতুন করে ঘি পড়ল।
আজ সকাল থেকেই ফের একবার ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সামনে অবস্থানে বসে পড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা (Teachers Protest। চাকরি ফেরানোর দাবিতে স্লোগানে মুখর হয় বিকাশ ভবন চত্বর।
পুলিশের বিপুল বাহিনী মোতায়েন থাকলেও আন্দোলনকারীদের থামানো যায়নি। বৃহস্পতিবার গেট ভাঙার ঘটনার পরে যে ভারী ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল বিকাশ ভবনের সামনে, শুক্রবার সকালেই তা টেনে সরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ এগিয়ে আসতেই তাঁরা রাস্তার উপরেই বসে পড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন—“চাকরি ফেরাও”, “নিয়োগ দুর্নীতি বন্ধ করো”, ইত্যাদি। পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধেও উঠেছে তীব্র ধিক্কার স্লোগান।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কারণে বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গেছে। অভিযোগ, অধিকাংশই ছিলেন যোগ্য, অথচ দুর্নীতির দায়ে চাকরি হারাতে হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক আন্দোলন, যার কেন্দ্রবিন্দু এখন বিকাশ ভবন।
গতকাল, ১৬ মে, আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় রাতে, যখন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও পাল্টা ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে দুই পক্ষের বিরুদ্ধে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে, সরকারি কর্মীদের একাংশ বিকাশ ভবনের পাঁচিল টপকে বাইরে পালানোর চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।
শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হওয়া আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ এবং তাঁদের কোনও ভাঙচুরে হাত নেই। একজন আন্দোলনকারী বলেন,
“আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানেই রয়েছি। কোনও ভাঙচুর করিনি। আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় বসে থাকব।”
চাকরি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ যত তীব্র হচ্ছে, রাজনৈতিক চাপও বাড়ছে সরকার ও প্রশাসনের উপর। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার, এখন সেদিকেই নজর।