বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি (Teachers Protest)। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশি লাঠিচার্জ ও অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে (Teachers Protest) এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের (Teachers Protest) আবেদন জানালেন আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায়।
গতকাল বিকেলে বিকাশ ভবনের প্রধান গেট ভেঙে আন্দোলনকারীরা ভেতরে ঢুকে পড়েন। রাত বাড়তেই চরমে পৌঁছায় উত্তেজনা। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ চালায় পুলিশ। বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আহত হন। এক পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
TV9-এর প্রতিবেদন অনুসারে এই ঘটনার পর শুক্রবার সকালে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ই-মেলের মাধ্যমে আবেদন করেন আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায়। তাঁর আর্জি, বিধাননগর কমিশনারেটের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্ট যেন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এদিকে মার খেয়েও আন্দোলন থেকে পিছু হটছেন না আন্দোলনকারীরা। রাতভর বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, আর কোনও পরীক্ষা নয় — যতদিন না ন্যায্য চাকরি ফেরানো হচ্ছে, ততদিন চলবে এই আন্দোলন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ‘ধিক্কার দিবস’ পালন করা হবে। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, “আমরা যোগ্য। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতেই হবে। সরকার যতদিন না সিদ্ধান্ত বদলায়, আমরা আন্দোলন ছাড়ব না।”
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক। এখন দেখার, আদালতের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।