সোদপুরের তরুণী নিগ্রহের ঘটনায় আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। অভিযুক্ত শ্বেতা খান (Sweta Khan) ওরফে মহসিনা বেগম ওরফে ফুলটুসির বিরুদ্ধে একের পর এক ‘কুকীর্তি’র প্রমাণ পেতে শুরু করেছে পুলিশ। নারকীয়ভাবে নিগৃহীত ওই তরুণীর অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই পলাতক শ্বেতা (Sweta Khan) ও তাঁর ছেলে আরিয়ান। ইতিমধ্যেই বুধবার সকালে খবর মিলেছে, তদন্তের অগ্রগতির জন্য শ্বেতার মাকে আটক করেছে পুলিশ।
হাওড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় নিরন্তর তদন্ত চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বাঁকড়া ফাঁড়িতে শ্বেতার (Sweta Khan) পরিবারের একাধিক সদস্যকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শ্বেতার মাকেও দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এরপরেই তাঁকে আটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তরুণী নিগ্রহ কাণ্ড সামনে আসার পাঁচ দিন পর এই প্রথম কাউকে আটক করল পুলিশ।

তদন্তকারীদের অনুমান, শ্বেতা (Sweta Khan) ও আরিয়ান হয়তো রাজ্যের বাইরে পালিয়ে গিয়েছেন। কারণ, একসময় কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকতেন শ্বেতা। তাই সন্দেহ জোরালো হচ্ছে, তাঁরা হয়তো মুম্বইয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন। শ্বেতার মায়ের কাছ থেকে এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ। তিনি কি মা-ছেলের গোপন ঠিকানা জানেন? পুলিশ এখন তা জানার চেষ্টা করছে।
শুধু তাই নয়, শ্বেতার (Sweta Khan) শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির লোকজনকে দফায় দফায় জেরা করছে তদন্তকারীরা। বাঁকড়ার ফকিরপাড়ায় তাঁদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খোঁজা হচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটের পিছনের ঝোপ থেকে এক তরুণীর চুল কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, সোদপুরের নিগৃহীতা তরুণীর মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া এই চুলের অংশ কি সেই তরুণীর? সেটি নিশ্চিত করতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে পুরোদমে। স্থানীয়রাও হতবাক, এই পরিবার সম্পর্কে নানা তথ্য সামনে আসছে। এখন প্রশ্ন, কোথায় লুকিয়ে আছে অভিযুক্ত মা-ছেলে? আদৌ কি শ্বেতার মা তাঁদের গোপন আশ্রয়ের খোঁজ জানেন? এই সব উত্তর খুঁজতেই মরিয়া তদন্তকারীরা।