বাংলার রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে তপ্ত তরজা। একদিকে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের ক্ষোভ ও সুপ্রিম কোর্টে ছুটোছুটি, অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘুরছেন নির্বাচন কমিশনে। বুধবার দুপুরে গুচ্ছ গুচ্ছ নথি হাতে কমিশনে হাজির হন তিনি। আর সেখানেই বিস্ফোরক অভিযোগ— রাজ্যের ভোটার তালিকায় অন্তত ১৩ লক্ষ ভুয়ো নাম!
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, “অন্তত ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার নাম ডবল বা ট্রিপল এন্ট্রিতে রয়েছে। একই ভোটারের নাম দুই-তিন জায়গায় দেখা যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই ভুয়ো ভোটারদের মাধ্যমে তৃণমূল ভোটে জালিয়াতি করে। আমি কমিশনে তথ্যসহ পেন ড্রাইভ জমা দিয়েছি।”
বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, পুরুলিয়া, বীরভূম, তমলুক, কাঁথি ও কোচবিহার— এই পাঁচটি লোকসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের নেতারা ইচ্ছাকৃত ভাবে মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে না, আবার বিদেশি নাগরিকদের নামও রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশিরা রাজ্য ছাড়ছে— এটা এখন দৃশ্যমান।”
কমিশনে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, “কমিশন আমার অভিযোগ গ্রহণ করেছে, আলাদা তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছে।” এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কই এই ভুয়ো ভোটাররা। আমি চাই সত্যিটা দেশবাসীর সামনে আসুক।”
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগকে সরাসরি নস্যাৎ করেছে। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “ওর নিজের জায়গাগুলোতেই তো এইসব সমস্যা। পুরুলিয়া, তমলুক, কাঁথি— আগে শুভেন্দুই দেখত। নিজে করে এখন এসে অভিযোগ করছে, অদ্ভুত লোক!”
ফলতা বিধানসভা নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, “ওই এলাকায় তৃণমূল নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে যেন কোনও নাম বাদ না দেওয়া হয়।”
রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার পর ফের উত্তাপ। বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের ভোটার তালিকা নিয়ে এই অভিযোগ কেবল প্রশাসনিক বিষয় নয়— এটি পরবর্তী নির্বাচনের ‘গ্রাউন্ড গেম’-এর অংশ। একদিকে কমিশন তদন্তে নামছে, অন্যদিকে তৃণমূলও তৈরি পাল্টা তথ্য উপস্থাপনে। রাজনীতি এখন আরও ঝড়ো।













