সরকারি কর্মীদের ২৫% ডিএ দিতে হবে — সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশে ফের চাপের মুখে রাজ্য সরকার (Suvendu adhikari)। বহুদিন ধরে এই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ও বিজেপির কর্মচারী পরিষদ এই নির্দেশকে ‘আন্দোলনের জয়’ হিসেবেই দেখছে (Suvendu adhikari)।
এই রায়ের পরেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari) কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “আদালতের দয়ায় এবার ২৫% ডিএ দিতে হবে।”
তিনি দাবি করেন, “সরকার জানত, তারা এই মামলায় হারবে। তাই তারিখের পর তারিখ নিয়েছে, নানা মামলা করেছে। আর তাতে খরচ করেছে ২০০ কোটি টাকারও বেশি, যা দিয়ে অন্তত ১০টি হাসপাতাল বা ২০০টি স্কুল তৈরি করা যেত।”
ডিএ ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর নতুন মাত্রা পায় শুভেন্দুর মন্তব্যে। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার হাত-পা জোড় করে আদালতের কাছে মিনতি করেছে, তাই বিচারপতিরা ২৫% দেওয়ার দয়া দেখিয়েছেন। আদতে, এই লড়াইয়ে জয় হয়েছে আন্দোলনকারীদের।”
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক নির্দেশ ছিল ৫০% বকেয়া ডিএ মেটানোর। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে জানান, এই পরিমাণ অর্থ দেওয়া সরকারের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয়। এরপরই আদালত অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে ২৫% ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
শুভেন্দুর অভিযোগ, “রাজ্য সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে মামলা চালিয়েছে, অথচ সরকারি কর্মীদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে।” তিনি দাবি করেন, এই রায় আসলে আন্দোলনের জয়, সরকারের নয়।
এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে শাসক শিবিরে যে চাপ বাড়ছে, তা বলাই যায়।