নতুন করে যে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেই নিয়েও এবার জটিলতা গড়াল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত (supreme Court)।বৃহস্পতিবার ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানির সময়ই কার্যত বেকায়দায় পড়ে যায় রাজ্য। নতুন পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। আদালতের স্পষ্ট প্রশ্ন—কেন পুরনো চাকরিহারা প্রার্থী আর একেবারে নতুন প্রার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হল (supreme Court)? আদালতের পর্যবেক্ষণ, নতুনদের জন্য যেন পুরনোরা কোনওভাবেই বিপদে না পড়েন, তা নিশ্চিত করা দরকার।
উল্লেখ্য, ২৬ হাজারের বেশি চাকরি বাতিল হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের (supreme Court) নির্দেশে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই নির্দেশ মেনেই পরীক্ষার আয়োজন করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে সেই পরীক্ষায় শুধু ২০১৬ সালে চাকরিহারা প্রার্থীরাই নয়, ফ্রেশার প্রার্থীরাও অংশ নেন। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল, পুরনো অভিজ্ঞদের জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে (supreme Court)।
পরবর্তীতে একাদশ-দ্বাদশের ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, এই অতিরিক্ত ১০ নম্বরের নিয়মের কারণে বহু নতুন প্রার্থী ফুল নম্বর পেয়েও ভেরিফিকেশনের ডাক পাননি। এরপরই পথে নামেন বঞ্চিত প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, এই অতিরিক্ত ১০ নম্বরের নিয়ম বাতিল করা হোক। সেই দাবিতে ফের মামলা হয়। সেই মামলা হাইকোর্টে শুনানির পর গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (supreme Court)।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এসএসসি সংক্রান্ত এই ধরনের সব বিষয় হাইকোর্টই শুনবে। প্রতিটি মামলাকারী হাইকোর্টে গিয়ে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরা দাগি হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের সম্পূর্ণ তথ্য-সহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে বন্ধ না হয়, তার আবেদন করেন আইনজীবীরা। সেই বিষয়টিও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের উপরই ছেড়ে দিয়েছে।
এই মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই দুর্নীতি আড়াল করতে পুরনো এবং নতুন প্রার্থীদের একসঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে (supreme Court)। তাঁর বক্তব্য, এই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি আরও বলেন, রাজ্য ভেবেছিল সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বিষয়টি ঘুলিয়ে দেওয়া যাবে, কিন্তু আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে—এরপর সব লড়াই হবে হাইকোর্টেই।
এখন সব নজর কলকাতা হাইকোর্টের দিকেই। সেখানে এই মামলার ভবিষ্যৎ কী হয়, সেটার উপরই নির্ভর করছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য।








