তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংগঠনিক রদবদলে কলকাতা উত্তরের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-কে। তাঁর জায়গায় কোনও একক নেতৃত্ব (TMC) নয়, বরং ৯ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করল দল (TMC)। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—উত্তর কলকাতায় কি তবে বীরভূম মডেল চালু করল তৃণমূল (TMC)?
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উত্তর কলকাতায় ব্যক্তিনির্ভর নেতৃত্বের বদলে সমষ্টিগত নেতৃত্বকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গঠিত কোর কমিটি-তে রয়েছেন: অতীন ঘোষ, জীবন সাহা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী), পরেশ পাল, শশী পাঁজা, সুপ্তি পাণ্ডে, স্বর্ণকমল সাহা, তপন সমাদ্দার ও বিবেক গুপ্ত। স্থানীয় বিধায়ক, কাউন্সিলর ও নেতানেত্রীদের মিলিয়ে এই দলটি উত্তর কলকাতার দায়িত্বে থাকবে।
এর আগে বীরভূমেও অনুব্রত মণ্ডলের একক নেতৃত্বের পরে একই রকম কমিটি গঠন করে দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন, এখন থেকে বীরভূমে দলীয় দায়িত্ব সামলাবে কোর কমিটি। কেষ্টর গ্রেপ্তার ও দীর্ঘ অনুপস্থিতির পরেও সেই কমিটিই সংগঠন সামলেছে।
এদিকে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপসারণকে ঘিরে দলীয় অন্দরে চাপা ক্ষোভের ইঙ্গিত মিলছে। সূত্রের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই তাপস রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে মতানৈক্য চরমে উঠেছিল। শুধু তাই নয়, সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও সুদীপের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। অবশেষে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ঢেলে সাজানোর পথে হেঁটে সুদীপকে সরিয়ে ‘ব্যক্তিনির্ভর’ নয়, দলনির্ভর মডেলেই ভরসা রাখল তৃণমূল।
শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই রদবদলকে কেন্দ্র করে উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ দেখা দিয়েছে।