বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) (এসটিএফ)। বিহারের মুঙ্গের জেলার এক অবৈধ অস্ত্র কারখানার মূল হোতা ধরা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ ফিরদৌস আলম, যার ডাকনাম ‘লাড্ডু’ (STF)।
এসটিএফ (STF) জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত পলাশডিহা এলাকার এক পেট্রোল পাম্পের সামনে ফাঁদ পাতা হয়। সেখান থেকেই ফিরদৌসকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় মোট ৯টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, যার মধ্যে ৪টি ছিল আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। সঙ্গে ছিল ৬টি ম্যাগাজিন এবং ১৪টি তাজা কার্তুজ।
তদন্তে জানা গেছে, বছর চল্লিশের ফিরদৌস মুঙ্গের জেলার নিজ গ্রামে একটি বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানা চালায়। বহু বছর ধরেই সেখানে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করে তা বিভিন্ন রাজ্যে পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাও তার অন্যতম বড় বাজার। এই প্রথমবার, নিজেই অস্ত্র নিয়ে সরাসরি বিক্রি করতে সে বাংলায় আসে, আর ঠিক তখনই তাকে ধরে ফেলে এসটিএফ।
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, ফিরদৌস আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ। তার তৈরি পিস্তলগুলো অত্যন্ত হালকা ও মরণক্ষম। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে— সে এই অস্ত্রগুলো কাকে বা কোন গোষ্ঠীকে বিক্রি করতে এসেছিল। আসানসোল উত্তর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাগাতার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের অন্দরেও। প্রশ্ন উঠছে— কারা এই অস্ত্র কিনছে? কে বা কারা এই আগ্নেয়াস্ত্র চক্রের পেছনে রয়েছে? ফিরদৌসের হেফাজত থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।