রাজধানী কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ কার্তুজ (STF)। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় ধরা পড়ল এক ব্যক্তি— যার পিঠে ছিল কার্তুজে ভরা ব্যাগ। অভিযুক্ত রামকৃষ্ণ মাঝিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ (STF)। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১২০ রাউন্ড কার্তুজ।
আজ, সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁকে ৪ জুন পর্যন্ত এসটিএফ (STF) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তবে আদালতে এক চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় এই মামলার শুনানি— যখন অভিযুক্তের আইনজীবী শেখ ওয়াসিম আখতার নিজেই স্বীকার করেন যে তাঁর মক্কেল একজন অস্ত্রপাচারকারী।
তিনি জানান, রামকৃষ্ণ শুধুমাত্র কার্তুজ পাচার করছিলেন এবং ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন কারা তাঁকে ওই কার্তুজ দিয়েছিল। এই স্বীকারোক্তি আদালতের ভেতরেই দেন আইনজীবী, যা উপস্থিতদের চমকে দেয় (STF)।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, এই ঘটনা একটি বৃহত্তর আন্তঃরাজ্য চক্রের অংশ। এর সঙ্গে আরও বহু ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রামকৃষ্ণের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। তিনি যখন ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করছিলেন, তখন তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় এসটিএফের আধিকারিকদের। তাঁর পিঠে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে ১২০ রাউন্ড কার্তুজ।
তবে এই বিপুল সংখ্যক কার্তুজ তিনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন বা কার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল, তা এখনই স্পষ্ট হয়নি। এসটিএফ এই দিকগুলি খতিয়ে দেখছে।
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, এই চক্রের শিকড় শুধু রাজ্যের মধ্যেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও বিস্তৃত থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই ধৃতের মোবাইল ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অস্ত্র আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নতুন কোনও নাম উঠে এলে খুব শীঘ্রই আরও গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে এসটিএফ।
এই ঘটনায় শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ধর্মতলার মতো জনবহুল এলাকায় কীভাবে এত কার্তুজ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এক ব্যক্তি, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।