স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে বিচারপতিরা (SSC Scam)। অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে উঠতেই বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন (SSC Scam)। সাফ জিজ্ঞাসা—“চিহ্নিত অযোগ্যদের হয়ে সওয়াল করার মতো জায়গায় আদৌ কি আছে কমিশন? যারা ভুয়ো ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগে অংশ নেওয়া না নেওয়ায় আপনারা এত উত্তেজিত কেন?”
ঘটনা ঘিরে ফের উত্তাল চাকরিপ্রার্থী মহল (SSC Scam)। কারণ এ দিন ডিভিশন বেঞ্চেও দেখা গেল কমিশন স্পষ্টভাবে দাঁড়িয়েছে অযোগ্যদের পাশেই (SSC Scam)। কমিশনের হয়ে সওয়াল করতে এসে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চিহ্নিত অযোগ্যরাও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। যদি ওঁরা না পারেন, তাহলে বাকি অসফল প্রার্থীদেরও একইভাবে বাদ দিতে হবে।”
এই মন্তব্যেই শুরু হয় বিচারপতির কড়া পর্যবেক্ষণ (SSC Scam)। বিচারপতি সৌমেন সেন কটাক্ষের সুরে বলেন, “যদি কেউ একটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হন, তাহলে কি আজীবন চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবেন? যারা দুর্নীতি করেছে, যাদের চাকরি প্রতারণা করে পাওয়া—তাদের কি আবার সুযোগ দেওয়া উচিত?”
এই পর্যবেক্ষণে পরিষ্কার, আদালত অযোগ্যদের পুনরায় (SSC Scam)নিয়োগের সুযোগ দেওয়া নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে সন্তুষ্ট নয়। প্রশ্ন উঠেছে SSC-এর অবস্থান নিয়েও। কেন কমিশন এত আগ্রহী হয়ে চিহ্নিত অযোগ্যদের জন্য আদালতে লড়ছে—তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা।
বিচারপতির মন্তব্য, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কমিশন বা সরকারের থাকলেও, জনস্বার্থে চূড়ান্ত দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই। আর সেই জনস্বার্থেই প্রশ্ন—অযোগ্যদের নতুন করে নিয়োগে ফেরানোর পথে হাঁটবে সরকার?
এই ঘটনার জেরে শিক্ষা ভবন থেকে রাজনীতির অন্দরমহল—সবত্র শুরু হয়েছে নতুন করে জল্পনা। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বলছেন, “চুরি করে ঢোকা যাদের প্রমাণ হয়ে গেছে, তাদের আবার সুযোগ দিলে সেটা ন্যায়ের পরিহাস হবে।”