বিকাশ ভবনের সামনে চাকরি হারানো শিক্ষকদের টানা আন্দোলন ঘিরে রাজ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তেই থাকছে (Teachers Protest)। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুক্রবারেও অব্যাহত। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ ও মারধরের অভিযোগ উঠলেও, এবার গোটা ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিল কলকাতা পুলিশ (Teachers Protest)।
এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সুপ্রতিম সরকার শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, পুলিশ পরিস্থিতি(Teachers Protest) সামাল দিতে শেষপর্যন্ত বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। তাঁর কথায়, “আন্দোলনকারীরা (Teachers Protest) জোর করে বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং মূল চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাও পুলিশ কোনও বলপ্রয়োগ করেনি। আমরা আন্দোলনকারীদের আবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রথম থেকেই ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।”
তিনি জানান, আন্দোলন চলাকালীন ৫৫টি সরকারি দফতরের কর্মীরা বিকাশ ভবনের ভিতরে আটকে পড়েন। সন্ধ্যার পর তাঁদের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি বলেন, “আমরা সাত ঘণ্টা ধরে বারবার বুঝিয়েছি। মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেছি যাতে কর্মীরা নিরাপদে বেরোতে পারেন। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ভেতর থেকে ‘প্যানিক কল’ আসতে শুরু করে। তখনই আমরা বলপ্রয়োগে বাধ্য হই।”
সুপ্রতিম সরকারের স্পষ্ট দাবি, “এই গোটা ঘটনায় পুলিশ চূড়ান্ত সংযম ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ এবং পাল্টা ইট ছোড়ার অভিযোগে গোটা চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী আহত হন বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
পুলিশের এই ব্যাখ্যার পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন করে তর্ক। অনেকেই পুলিশের পদক্ষেপকে ‘বাধ্যতামূলক’ বলে মানলেও, আন্দোলনকারীদের একাংশ এখনও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেদিকেই নজর প্রশাসন ও রাজ্যবাসীর।