চাকরি হারিয়ে একরাশ হতাশা ও ক্ষোভ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Sourav Ganguly) দিনের পর দিন শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন। কখনও তাঁরা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে, কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান, আবার কখনও কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছে গিয়ে আশার আলো খুঁজছেন। তাঁদের দাবি একটাই— যে অন্যায়ভাবে তাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত চাই।
এইভাবেই একদিন তাঁরা গিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক তথা বাংলার গর্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বাড়িতেও। যদিও সেদিন সৌরভের (Sourav Ganguly) সঙ্গে দেখা হয়নি, কিন্তু তাঁদের বার্তা পৌঁছেছিল মহারাজের কানে।
শনিবার, এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়টি সৌরভের (Sourav Ganguly) সামনে তোলা হলে তিনি সরলভাবে বলেন, “আমি চাইব তাঁদের চাকরি হোক। তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা হোক।” এই কথাগুলো যেন শত সহস্র চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকার মনের কথা প্রকাশ করে দিল। সৌরভ তাঁর সহানুভূতি ও সমর্থনের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন, তিনি কেবল মাঠের ‘মহারাজ’ নন, মানুষের মনেরও রাজা।
প্রসঙ্গত, আদালতের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। যদিও আপাতত তাঁদের সাময়িকভাবে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে তাঁদের পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে— এমনটাই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। যদিও গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ নেই। কিন্তু চাকরি হারানো শিক্ষকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষা দিতে রাজি নন। তাঁদের প্রশ্ন— যারা ভুয়ো ভাবে চাকরি পেয়েছে, কেন তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না?
এই সবকিছুর মধ্যেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে, আর চাকরিহারারা শহরের পথে পথে, ধর্না মঞ্চে, এবং নানা বিশিষ্টজনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চাকরি ফেরানোর দাবিতে তাঁদের সংগ্রাম এখনও থামেনি। এবার তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বাংলার দাদা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।