রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকায় খুঁটিনাটি যাচাই চলছে। ইতিমধ্যেই ব্লো–রা বাড়ি বাড়ি যাচাই করতে শুরু করেছেন (SIR Update)। যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাদের জন্য চিন্তা কম। কিন্তু যাদের নাম ওই তালিকায় নেই, তাঁদের এবার নথি জমা দিতে হবে। দিতে হবে এনুমারেশন ফর্ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (SIR Update)। নির্বাচন কমিশন জন্ম শংসাপত্রকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে, ফলে অনেকেই উদ্বেগে— জন্ম প্রমাণপত্র নেই, তাহলে কী হবে? হাতে লেখা পুরনো সার্টিফিকেট নিয়ে কী করবেন— ইত্যাদি প্রশ্ন বাড়ছে (SIR Update)।
আইন অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে সব জন্মই নথিভুক্ত হয়। শহরে পুরসভা, মিউনিসিপ্যালিটি, আর গ্রামে বিডিও অফিস বা পঞ্চায়েতে গিয়ে জন্ম সনদ করা যায়। হাসপাতাল থেকেই সাধারণত রেজিস্ট্রেশন ফর্ম দেওয়া হয়, আবার crsorgi.gov.in ওয়েবসাইট থেকেও ফর্ম ডাউনলোড করা সম্ভব (SIR Update)।
জন্মের ২১ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করলে প্রক্রিয়া খুব সহজ। ফর্ম জমা দিলে সাত দিনের মধ্যে জন্ম শংসাপত্র পাওয়া যায়। হাসপাতালের বাইরে বাড়িতে জন্ম হলে এমবিবিএস ডাক্তার বা গ্রাম পঞ্চায়েত/কাউন্সিলর সার্টিফিকেট দিলে জন্ম শংসাপত্র তৈরি হয়। এক বছর পেরিয়ে গেলে জেলা স্তরের অফিসারের যাচাই দরকার (SIR Update)। নথি হিসেবে লাগে মা–বাবার পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণ, বিবাহের শংসাপত্র (যদি থাকে), হলফনামা।
অনেকেরই হাতে লেখা পুরনো সার্টিফিকেট রয়েছে। সেই কাগজও ডিজিটাল করা যায় (SIR Update)। ১৯৯৯ সালের পর যাদের জন্ম বা সার্টিফিকেট সেই সময় ইস্যু হয়েছে, তারা সহজেই ডিজিটাল কপি পেয়ে যাবেন। ১৯৮৭ সালের আগের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে, তবে মূল সার্টিফিকেট ও অভিভাবকের পরিচয়পত্র নিয়ে পুরসভা/পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফর্ম এ পূরণ করতে হবে। সার্টিফিকেট হারালে ফটোকপি বা পোলিও কার্ডে থাকা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ডিজিটাল কপি পাওয়া যায়, তবে আগে থানায় ডায়রি করতে হবে (SIR Update)।













