বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ভবানীপুরে জয় লাভের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, নন্দীগ্রামের তুলনায় ভবানীপুরে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভবানীপুরের ৮০ শতাংশ অমুসলিম ভোটার, অবাঙালি ভোটার, এবং ২০২৪ লোকসভা ভোটে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিজেপির এগিয়ে থাকা—এসবই তাঁকে (Suvendu Adhikari)আশাবাদী করছে।
নন্দীগ্রামে ৬৫ শতাংশ হিন্দু ভোটারের সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু। ভবানীপুরে অমুসলিম ভোট প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ। এছাড়াও, ভবানীপুরের অবাঙালি ভোটাররা ঐতিহাসিকভাবে বিজেপির দিকে ঝোঁকেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। এই ভোট ব্যাংক এবং হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাকে ভিত্তি করেই শুভেন্দু ভবানীপুরকে “সহজ” বলে মনে করছেন।
২০২৪ লোকসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভার ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে বিজেপি এগিয়ে ছিল। যদিও সামগ্রিকভাবে তৃণমূলের প্রার্থী মালা রায় ৮,২৭১ ভোটে লিড পান। তবে শুভেন্দু মনে করছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হিন্দু ভোটারদের মধ্যে আরও ঐক্য গড়ে উঠেছে, যা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক হবে।
শুভেন্দুর দাবিকে সরাসরি খারিজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের মতে, লোকসভা ও বিধানসভার ভোটের প্রেক্ষাপট এক নয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে ৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫৮,৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। শাসক দল দাবি করছে, এবারের বিধানসভা ভোটেও তারা বিশাল ব্যবধানে জিতবে।
তৃণমূলের নেতৃত্ব শুভেন্দুর দাবিকে “আকাশ কুসুম কল্পনা” বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের মতে, মমতার জনপ্রিয়তা এবং ভবানীপুরে তৃণমূলের শক্ত ভিত্তি শুভেন্দুর হিসেবকে ভুল প্রমাণ করবে।
শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক হিন্দুত্বকেন্দ্রিক প্রচার এবং টানা কর্মসূচি নজর কেড়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তৃণমূলের পাল্টা আক্রমণ ও মমতার শক্তিশালী অবস্থান ভবানীপুরে লড়াইকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রে কী রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়, তা সময়ই বলবে।