আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই কাণ্ডের কেন্দ্রে থাকা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল আবারও ফিরে এলেন শিরোনামে। সোমবার কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারক অরিজিৎ মণ্ডল—দু’জনকেই সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে হবে মঙ্গলবার।
স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, আরজি কর হাসপাতালের ভিতরেই এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে, যা গোটা রাজ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করে (Sandeep Ghosh)। সেই মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবার দাবি করে, ঘটনার মূলস্থল আদালতের নজরে আনা হোক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারক নির্দেশ দেন, মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে এবং তাঁদের কোনও বক্তব্য থাকলে তা আদালতের সামনেই জানাতে হবে।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছিল টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান, কিন্তু অভিযোগ ওঠে—জামিন পাওয়ার পর তিনি আদালতে হাজির হননি। পরে কোর্টের আদেশে একবার হাজিরা দেন।
অন্যদিকে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) এই ধর্ষণ ও খুন মামলায় জামিন পেলেও, বর্তমানে তিনি আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জেলবন্দি। এই কারণে, আগের শুনানিতে তাঁকে আদালতে হাজির করা যায়নি। তবে বিচারক এবার স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন—উভয় অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করাতে হবে।
এই নির্দেশে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে আরজি কর-কাণ্ড, এবং প্রশ্ন উঠছে—আসলে কতটা প্রভাবশালী এই দুই অভিযুক্ত?