ছেলেকে খুঁজতে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না মায়ের। সেক্টর ফাইভের (Saltlake) কলেজ মোড়ে এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আরতী দাস-এর। অফিস টাইমের ব্যস্ত সময়ে, বাসের ধাক্কায় চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। স্বামীর চোখের সামনেই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরতী দাস ও তাঁর স্বামী প্রায় দু’মাস ধরে ছেলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না (Saltlake)। তাঁদের ছেলে সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড় এলাকায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন বৃদ্ধ দম্পতি নিজেরাই ছেলের অফিসে খোঁজ নিতে আসেন। কিন্তু ঠিক কোন বিল্ডিংয়ে ছেলের অফিস, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা (Saltlake)।
মঙ্গলবার সকালে কলেজ মোড়ের কাছে রাস্তা পার হওয়ার জন্য সাইডে দাঁড়িয়েছিলেন আরতী। পাশেই ছিলেন তাঁর স্বামী। সেই সময় হাওড়া থেকে মহিষবাথানের দিকে যাওয়ার পথে ২১৫ নম্বর রুটের একটি বাস বাম দিকে মোড় নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। আচমকাই বাসটি আরতী দাসকে ধাক্কা মারে (Saltlake)। তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে যান।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দ্রুত বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বামীর সামনে এই দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয় মানুষও। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র শোক ও ক্ষোভ।
ঘাতক বাসটিকে চালক-সহ আটক করেছে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। বাস চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কি না। বৃদ্ধ দম্পতির একমাত্র ছেলের খোঁজ করতে এসে এমন করুণ পরিণতি—এই ঘটনায় গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়।











