রাতের ট্রেনে মহিলা কামরায় উঠে পড়েন এক পুরুষ যাত্রী (Dumdum)। ট্রেনটি চলছিল যখন, তখন কামরার অন্যান্য মহিলা যাত্রীরা বারবার তাঁকে নামাতে অনুরোধ করলেও তিনি তা শোনেননি। শেষে এক মহিলা যাত্রী রেলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই অভিযোগ জানান।
এরপর ট্রেনটি যখন দমদম স্টেশনের (Dumdum) কাছাকাছি পৌঁছয়, তখন মহিলা আরপিএফ এসআই করুণা কুমারীর নেতৃত্বে একদল আরপিএফ ওই ট্রেনের ওই মহিলা কামরায় ওঠেন অভিযুক্ত যাত্রীকে নামাতে। তখনই উত্তেজনা চরমে ওঠে। আরপিএফ সদস্যদের সঙ্গে তুমুল বচসা চলাকালীন আচমকাই ওই পুরুষ যাত্রী ট্রেন (Dumdum) থেকে ঝাঁপ দেন রেললাইনে।
তাঁকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দেন মহিলা আরপিএফ এসআই করুণা কুমারীও (Dumdum)। সেই সময় উল্টো দিক থেকে এসে পড়ে রানাঘাট আপ লোকাল ট্রেন। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতরভাবে জখম হন দু’জনই। পুরুষ যাত্রীর একটি পা কেটে বাদ যায়। করুণা কুমারীর মাথায় গভীর আঘাত লাগে ও পায়েও গুরুতর চোট পান তিনি।
দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে আর জি কর হাসপাতালে (Dumdum)। যাত্রীদের একাংশ ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এবং অভিযোগ করেন, পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
তাঁরা আরও জানান, এখন রেলের কামরা বিন্যাসে বিভ্রান্তি রয়েছে, অনেক সময় পুরুষ যাত্রীরা বুঝতে পারেন না কোনটা মহিলা কামরা। তবে, এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীকে ভয় দেখিয়ে রেললাইনে নামিয়ে দেওয়া অমানবিক বলেই মনে করছেন অনেকেই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দমদম স্টেশনে আরপিএফ নিয়মিতভাবে জরিমানার অজুহাতে টাকা তোলে। যদিও আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলা কামরায় পুরুষ যাত্রীর ওঠা সম্পূর্ণ বেআইনি, আর তা আটকাতেই নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল। তবে পরিস্থিতি যেভাবে মোড় নিয়েছে, তার তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।