প্রান্তিক অঞ্চলের ইতিহাসে এমন নজির নতুন নয়—নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমাজচ্যুত করা। ভূ-ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে বহুবার (RG Kar)। কেউ বলেছেন, মানুষ তাদের একঘরে করে দিয়েছে; কেউ বলেছেন, বাজারে গিয়েও অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু একুশ শতকের বাংলায়, আজও এমন চিত্র দেখা যাবে—এটা অনেকের কাছেই অকল্পনীয় ছিল (RG Kar)।
শনিবার সকালে, নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার আগে তিলোত্তমার বাবার (RG Kar) কণ্ঠে শোনা গেল সেই একই যন্ত্রণার সুর। অভিযোগ তুললেন, তাঁদের পরিবারকে একঘরে করে দিয়েছে আশেপাশের মানুষ। তাঁর কথায় (RG Kar), “আমাদের আশেপাশের লোকজন রাস্তায় দেখা হলেও সঠিকভাবে কথা বলেন না। বাজারে দোকানদাররা কিছু বিক্রি করার আগে দশবার ভাবেন। একঘরে করে দিয়েছে আমাদের। ঠিক আগেকার দিনের মতো—কেউ যোগাযোগ রাখে না, কেউ পাশে দাঁড়ায় না।”
নাজিম হিকমতের একটি কবিতা অনুবাদ করেছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়—“বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর।” কিন্তু আরজি কর আন্দোলনের ক্ষেত্রে সেই কথাটি খাটেনি। এক বছর পেরিয়ে গেলেও, কলকাতা আবার সাক্ষী হল নতুন উত্তালতার। মানুষ আবার পথে নেমেছে, রাত জেগেছে আন্দোলনে। অথচ সেই মানুষই কীভাবে তিলোত্তমার পরিবারকে সমাজচ্যুত করল—সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিলোত্তমার বাবার (RG Kar) অভিযোগ, এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে রাজ্যের শাসকদল। তাঁর কথায়, “পাড়া-প্রতিবেশীরা কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না, সবাইকে ভয় দেখানো হয়েছে।” অভিযোগের নিশানা সরাসরি তৃণমূলের দিকে। একই দিনে নবান্ন অভিযানের মঞ্চ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন তিলোত্তমার মা—লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন বলে দাবি তাঁর। অভিযানের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, পরে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।