আরজি কর মেডিক্যালে ভয়াবহ ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar) ঘটনা প্রায় এক বছর আগে ঘটে গিয়েছিল। সেই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শেষ, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় পেয়েছে শাস্তি। কিন্তু শহরবাসীর মনে এখনও তাজা সেই আতঙ্ক। এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে অগ্রভাগে থাকা তিন চিকিৎসকের (RG Kar) বিরুদ্ধে ‘টার্গেটেড শাস্তি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের পোস্টিং বদলের অভিযোগ সামনে এসেছিল আগেই। এবার একই অভিযোগ (RG Kar) আনলেন দুই চিকিৎসক— অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়া। অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের পোস্টিং নির্ধারিত হয়েছিল, কিন্তু মেধাতালিকায় সেই জায়গা বদলে গিয়ে একেবারে অন্যত্র তাঁদের (RG Kar) পাঠানো হয়েছে।
আশফাকুল্লাহর পোস্টিং হওয়ার কথা ছিল আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে। অনিকেতের পোস্টিং হওয়ার কথা ছিল আরজি কর মেডিক্যালে। কিন্তু মেধাতালিকায় দেখা যাচ্ছে, অনিকেতকে পাঠানো হয়েছে রায়গঞ্জে আর আশফাকুল্লাহকে পুরুলিয়ায়।
তালিকায় মোট ৮৭১ জনের নাম রয়েছে। কিন্তু শুধু ওই দু’জনের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে দেবাশিস হালদারের ক্ষেত্রেও কাউন্সেলিং অনুযায়ী হাওড়ায় পোস্টিং হওয়ার কথা থাকলেও মেধাতালিকায় দেখা যাচ্ছে, তাঁকে পাঠানো হচ্ছে মালদহের গাজোল এলাকায়— যেখানে কোনও শূন্যপদই ছিল না।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার তাঁদের সংগঠন WBJDF স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের অভিযোগ, এই চিকিৎসকেরা আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুলেছিলেন বলেই তাঁদের পোস্টিং ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে।
অনিকেত মাহাতো অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম তাঁদের বলেছেন— “কাউন্সেলিং যাই হোক, সরকার যেখানে খুশি পোস্টিং দিতে পারে।”
চিকিৎসক মহলের একাংশের প্রশ্ন— তবে কি আন্দোলন করলেই পোস্টিংয়ের নামে শাস্তি? আন্দোলনের ‘মূল্য’ এভাবেই দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের? সরকার কি ভিন্নমত সহ্য করতে পারছে না?