আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar) তরুণী চিকিৎসক তিলোত্তমা রায়ের ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন মোড়। যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। তাঁর (RG Kar) দাবি, তিনি নির্দোষ এবং তাঁকে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে। এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে।
গত বছর আগস্ট মাসে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar) কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনাটি নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণের পর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। এই ঘটনায় তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (RG Kar) ।
নিম্ন আদালতে মামলার শুনানি শেষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয় (RG Kar) । সেই রায়ের ছ’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর, এবার হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন অভিযুক্ত। তাঁর আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেছেন। বুধবার বিচারপতি বসাকের বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মামলায় জড়িত সমস্ত পক্ষকে নোটিস পাঠাতে হবে। এরপর আগামী সপ্তাহে, বুধবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে (RG Kar) ।
এই আবেদনে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতা তরুণী তিলোত্তমার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, এই আপিলের পেছনে রাজ্য সরকারের ‘মদত’ থাকতে পারে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মামলার নিয়ম অনুযায়ী তাদের লিখিতভাবে নোটিস দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস বা আদালতের চিঠি তারা পাননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
তিলোত্তমার বাবা-মা আরও জানান, তাঁরা শিয়ালদহ আদালতে আরজি জানিয়েছিলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু বুধবার সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা আরও অসন্তুষ্ট। তাঁদের বক্তব্য, “একজন ধর্ষক ও খুনিকে বাঁচাতে সবদিক থেকে চেষ্টা চলছে, এটা আমাদের সহ্য হচ্ছে না।”
এই ঘটনায় ফের একবার উত্তাল হতে পারে রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল। একদিকে অভিযুক্তের হাইকোর্টে আপিল, অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিবারের ক্ষোভ— গোটা মামলার ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে উচ্চ আদালতের রায়ের উপর।