তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুনের এক বছর কেটে গেলেও সুবিচারের আলো এখনও পৌঁছায়নি তাঁর পরিবারে (RG Kar)। সেই অপেক্ষার যন্ত্রণা নিয়েই ফের রাজপথে গর্জে উঠল WBJDF। শুক্রবার রাতের আকাশে প্রতিবাদের শিখা জ্বালিয়ে কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মশাল মিছিল করলেন তাঁরা (RG Kar)। শুধু কলকাতা নয়, শহরতলি ও জেলা জুড়েও আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে।
গত বছরের মতো এবছরও মিছিলে পা মেলালেন অভিনেত্রী দেবলীনা (RG Kar)। তবে প্রশ্ন উঠেছে—বিনোদন জগতের এত পরিচিত মুখ গতবারের মতো এবছর কেন দেখা গেল না? দেবলীনাও সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন স্পষ্ট ভাষায়—“এটা একেবারেই তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁরা কর্মক্ষেত্রে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন, তাই আসতে পারেননি।”
আন্দোলন থিতিয়ে পড়েছে কি না—এই প্রশ্নে দেবলীনার (RG Kar) সাফ জবাব, “WBJDF-এর লড়াই এক বছর ধরে চলছে। হয়তো সংবাদমাধ্যমে তা সেভাবে প্রচার পায়নি, তাই মনে হচ্ছে আঁচ কমে গেছে। কিন্তু আজ রাতের এই ভিড়ই প্রমাণ করছে—আন্দোলন এখনও বেঁচে আছে, গর্জন থামেনি।”
হাতিবাগানেও দেখা গেল একই দৃশ্য (RG Kar) । চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ, সকলে মশাল হাতে নেমেছেন রাস্তায়। এক আন্দোলনকারী জানালেন, “যতদিন বিচার না পাব, লড়াই জারি থাকবে।” চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইঞার কথায়, “কোনও আন্দোলন চিরকাল একই তীব্রতায় জ্বলতে পারে না, কিন্তু তার শিখা মানুষের মনে থাকে। সেই আগুনই লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাবে।”
আন্দোলনকারী (RG Kar) অনিকেত মাহাতোর মতে, “নবান্ন অভিযানে আমাদের সংগঠনের আনুষ্ঠানিক অংশগ্রহণ নেই। তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে যেতে চাইলে, ন্যায়বিচারের দাবিতে অবশ্যই যেতে পারেন।”
সবশেষে উল্লেখযোগ্য বিষয়—শনিবার নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। দলীয় পতাকা সরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডাক দিয়েছেন—বিজেপি নেতা-কর্মীরা যেন তাঁদের সেই অভিযানে পাশে দাঁড়ান।