মাত্র ন’মাস আগে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল। সংসার ছিল সদ্য শুরু। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ভালোবাসতেন বলেই জানতেন সবাই। এমন সময় সোমবার সকালে আচমকাই দুঃসংবাদ— শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ১৯ বছরের এক গৃহবধূর দেহ (Rajarhat)।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট (Rajarhat) থানার অধীনে জগদীশপুর মুসলিম পাড়ায়। মৃত গৃহবধূর নাম মেহেগ আনসারি। তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর। তিনি রাজারহাটের জগারডাঙ্গার বাসিন্দা। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন জগদীশপুরের যুবক জাকির হোসেনকে, যিনি একটি অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় কাজ করেন।
বিয়ের পর তাঁদের দাম্পত্যজীবনে কোনও সমস্যা ছিল না বলেই দাবি করেছেন স্থানীয়রা (Rajarhat)। এমনকি, মেহেগ আনসারি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে হঠাৎ করে কী এমন হল, যে তিনি গলায় ফাঁস দিলেন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

পুলিশ (Rajarhat) এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। রাজারহাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। রিপোর্ট এলেই জানা যাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য। তবে মেয়ের মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁদের সরাসরি অভিযোগ— মেহেগকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেহেগের বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার বড় মেয়ে ফোন করে জানায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে বলেছে মেহেগ নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। আমি কাজ থেকে ছুটে এসে দেখি, ওর নিথর দেহ চিনারপাড়ার এক হাসপাতালে পড়ে আছে। আমি ভেঙে পড়ি কান্নায়। আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে— ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।