সাসপেন্ডেড তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী রাজন্যা হালদারকে (Rajanya Halder) প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল সোনারপুর থানার পুলিশ। ইমেল মারফত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজন্যা নিজেই, আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে লিগাল নোটিস পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সোমবার তিনি হাজির হন থানায়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন থানার এক মহিলা পুলিশ অফিসার (Rajanya Halder) ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজন্যা (Rajanya Halder) তাঁর অভিযোগপত্রে যেসব আপত্তিকর ছবি ও তথ্যের উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর উৎস এবং প্রাপ্তির পথ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। পুলিশ জানতে চায়, ঠিক কীভাবে এবং কার মাধ্যমে রাজন্যা এই ছবি পেয়েছেন। এমনকি, রাজন্যাকে (Rajanya Halder) ছবিগুলির নির্দিষ্ট ইউআরএল (URL) লিঙ্ক দেওয়ার জন্যও বলা হয়, কারণ পুলিশের মতে, এগুলি তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রযুক্তিগতভাবে যাচাই করা জরুরি।
যদিও থানার জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রাজন্যা (Rajanya Halder) সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি শুধু বলেন, “এখন কিছু বলতে চাই না। পরে সব বলব।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজন্যাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার কিছুদিন পরেই তিনি দলের একাধিক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, একাধিক ছাত্রনেতার মোবাইল ফোনে তাঁর নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার পিছনে রয়েছে চক্রান্ত ও মানহানির চেষ্টা। এই বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্দরমহলে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন।
সোনারপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, রাজন্যার দেওয়া তথ্য ও ছবি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।