দীর্ঘ চাপা ক্ষোভ ও রাজনৈতিক বিতর্কের পর অবশেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder)। শনিবার তিনি সোজা হাজির হন সোনারপুর থানায়, অভিযোগপত্রে জানান নিজের বিকৃত ছবি ছড়ানোর পেছনে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র। রাজন্যার দাবি, তাঁর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ধ্বংস করতেই এ কাজ করেছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল (Rajanya Halder)।
রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কে ঘৃতাহুতি পড়ে কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর। সেই ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে যখন ঝড় বয়ে যায়, তখন গত ২৯ জুন মুখ খোলেন রাজন্যা (Rajanya Halder)। সাফ অভিযোগ করেন, তাঁর দলেরই কিছু নেতানেত্রী AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর নগ্ন ও বিকৃত ছবি তৈরি করে ছড়িয়ে দিচ্ছে জুনিয়রদের ফোনে। উদ্দেশ্য, তাঁকে ‘চুপ করানো’।
কিন্তু এত বড় অভিযোগ সত্ত্বেও রাজন্যা (Rajanya Halder) প্রথমে পুলিশের দ্বারস্থ হননি। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে শাসকদলের একাংশও। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষ স্পষ্ট বলেন, এই সময় বেছে নেওয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এমনকী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে সঙ্গে জানাননি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন রাজন্যা। অভিযোগপত্রে স্পষ্ট লিখেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে AI ব্যবহার করে তাঁর নাম জুড়ে ভুয়ো ছবি তৈরি করা হয়েছে, যেগুলিকে প্রকৃত বলেই ছড়ানো হচ্ছে। সেইসব ছবির কয়েকটি কপি তিনি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি কারও নাম লেখেননি অভিযোগে, তবে পুলিশ চাইলে অভিযুক্তদের নাম জানাতে তিনি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।
রাজন্যার আর্জি, পুলিশ যেন দ্রুত তদন্ত করে দেখে ছবিগুলি সত্যি বিকৃত কি না এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়। একইসঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তদন্তে পুলিশকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন তিনি।
এখন নজর পুলিশের দিকেই। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে কি ধরা পড়বে এই নোংরা খেলায় জড়িতদের মুখ? ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করে কোন পথে হাঁটে বারুইপুর পুলিশ, সেটাই এখন দেখার।