শহরের বুকেই নেমে এল রহস্যের ঘনঘটা। রাজাবাজারে (Razabazar) ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের কঙ্কালসার দেহ। চারদিকে পচাগলা গন্ধ, আতঙ্ক আর শোরগোল। মঙ্গলবার সকালে জল না যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরসভার কর্মীরা যা দেখলেন তা দেখে স্তব্ধ সবাই। ম্যানহোল খুলতেই চোখে পড়ে পচনে ধ্বংসপ্রায় এক দেহ (Razabazar) । বয়স আনুমানিক ৩০। পরিচয় এখনও মিলেনি। এলাকা মুহূর্তে উত্তেজনায় থইথই।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। দেহ প্রায় কঙ্কালসার (Razabazar) । বাইরে বড় কোনও আঘাতের চিহ্ন না মিললেও রহস্য আরও ঘনীভূত— সত্যিই কি দুর্ঘটনা? ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু? নাকি পরিকল্পিত খুনের চিহ্ন মুছে দেওয়ার জন্য এমন নির্মম ভাবে দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল? তদন্তকারীদের মতে, এই মুহূর্তে সব সম্ভাবনাই খোলা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টই এখন সব উত্তরের অপেক্ষা (Razabazar) ।
স্থানীয় বাসিন্দারা (Razabazar) জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ড্রেনের জল চলাচলে সমস্যা ছিল। সেই অভিযোগেই পুরসভার কর্মীরা সকাল থেকে একের পর এক ম্যানহোল পরিষ্কার করছিলেন। প্রথম তিনটে ম্যানহোলে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু চতুর্থ ঢাকনা উঠতেই সামনে আসে মৃতদেহ। সাফাইকর্মীদের ভাষায়, “দেহটা এমনভাবে শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে গিয়েছে যে প্রথমে ভয় করে গেল। অনেক দিন ধরে ছিল মনে হচ্ছে।”
দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে । পুলিশ ইতিমধ্যেই আশপাশের এলাকায় খোঁজ শুরু করেছে কোনও নিখোঁজের খবর মিলছে কি না। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ, ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও নজর এড়িয়ে এতদিন ধরে ম্যানহোলে দেহ পড়ে থাকল— সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাজুড়ে কানাঘুষো ও আতঙ্ক। কে সেই যুবক? কীভাবে মৃত্যু হল? খুন নাকি দুর্ঘটনা? উত্তর দেবে সময়।
এখন সবার চোখ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের দিকে এবং পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। শহরের বুকেই গা-ছমছমে রহস্যমৃত্যু— রাজাবাজারের বুকে ভয়ের ছায়া।













